সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের (বাঁ দিকে) সঙ্গে গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নজরে গৌতম গম্ভীরের সহকারী কোচেরা। কোচ হয়ে আসার পর গম্ভীর নিজেই বেছে নিয়েছিলেন সাপোর্ট স্টাফেদের। কিন্তু ছ’-সাত মাস পরেও প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়া যায়নি। তাই এ বার সাপোর্ট স্টাফদের দল বাড়তে চলেছে। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের পাশাপাশি নতুন কয়েক জনকে যুক্ত করা হতে পারে। গম্ভীরের পছন্দের নয়, তাঁদের নিয়োগ করবে সরাসরি বোর্ডই। সেই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার কেভিন পিটারসেন ও রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি সীতাংশু কোটাক। দৌড়ে অবশ্য এগিয়ে সীতাংশু।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার পিটারসেন সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ভারতের ব্যাটিং কোচ হতে চান। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন পিটারসেন। টেস্টে ৮১৮১, এক দিনের ক্রিকেটে ৪৪৪০ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৭৭৬ রান করা পিটারসেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের যে দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই দলের সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটার এ বার কোহলিদের ব্যাটিং কোচ হতে চান।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নজরে অবশ্য রয়েছেন ভারতীয় সীতাংশু। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসাবে নাম রয়েছে তাঁর। ২০২০ সালে সৌরাষ্ট্রকে রঞ্জি জিতিয়েছিলেন তিনি। দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর তাঁকে ভারত ‘এ’ দলের কোচ করা হয়। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভিভিএস লক্ষ্মণের সহকারী কোচও তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত সীতাংশুকে গম্ভীরের সহকারী করতে চায় বোর্ড। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সীতাংশুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় এ দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাই তাঁর উপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। সীতাংশুর সহকারী কোচ হওয়া সময়ের অপেক্ষা। জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের আগেই সীতাংশুকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
কেকেআরে যাঁদের নিয়ে ট্রফি জিতেছিলেন, সেই সাপোর্ট স্টাফদের সবাইকে ভারতীয় দলে নিয়ে গিয়েছিলেন গম্ভীর। অভিষেক নায়ার (সহকারী ও ব্যাটিং কোচ) এবং রায়ান টেন দুশখাতেকে (সহকারী কোচ) নিয়েছিলেন। লখনউয়ে মর্নি মর্কেলের (বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজ করেছিলেন গম্ভীর। আগের সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে থেকে গিয়েছেন শুধু ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। গত ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ে বোর্ডের বৈঠকে সাপোর্ট স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এখনই সকলকে বদলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা নেই। তবে অন্য কাউকে এনে একটা ভিন্ন মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার জানা গিয়েছিল, দলের সাপোর্ট স্টাফেরা কেমন কাজ করছেন সে ব্যাপারে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মতামত চেয়েছে বোর্ড। বোর্ডের এক সূত্র দাবি করেছিলেন, “অভিষেক নায়ার সবচেয়ে কড়া নজরে রয়েছেন। বোর্ড ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করেছে যে, নায়ারের পরিকল্পনায় আলাদা কোনও বিষয় রয়েছে কি না। একই ভাবে রায়ান টেন দুশখাতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাল মানের ক্রিকেটারদের উন্নতিতে অবদান রাখতে না পারার কারণে ওকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।” কিছু সাপোর্ট স্টাফের চুক্তির মেয়াদ কমিয়ে দু’-তিন বছর করা হতে পারে। কারণ বোর্ডের ধারণা, তাঁরা দীর্ঘ দিন থাকলেও দলের কোনও লাভ হয়নি। এখন দেখার গম্ভীরদের দলে সহকারী হিসাবে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।