রঞ্জি ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে যা কখনও হয়নি, এ বার তাই হয়েছে। তৈরি হয়েছেন নতুন নজির। যার কৃতিত্ব দুই বোলারের। তাঁরা আলাদা আলাদা ম্যাচ খেলেও যৌথ ভাবে গড়েছেন নজির।
রঞ্জি ট্রফিতে রেলওয়েজের হয়ে গোয়ার বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন আকাশ পান্ডে। খরচ করেছেন ৭১ রান। তাঁর দু’দিন আগেই কেরলের জলজ সাক্সেনাও বাংলার বিরুদ্ধে ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন ৬৮ রান দিয়ে। ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নতুন নজির তৈরি হয়েছে এই জোড়া ঘটনায়। অতীতে কখনও রঞ্জি ট্রফির এক মরসুমে দু’জন বোলার ইনিংসে ৯ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। যা হয়েছে এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে। আকাশ এবং জলজ আলাদা ম্যাচে নেমেও ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নজির গড়েছেন।
রঞ্জি ট্রফিতে ইনিংসে ৯ উইকেট নতুন নয়। ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার নজিরও রয়েছে একাধিক। দু’জন বোলারের এই কৃতিত্ব রয়েছে। ইনিংসে প্রথম ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন বাংলা প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রেমাংশু চট্টোপাধ্যায়। তিনি ১৯৫৬-৫৭ মরসুমে অসমের বিরুদ্ধে ২০ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। রাজস্থানের প্রদীপ সুন্দরম ১৯৮৫-৮৬ মরসুমে বিদর্ভের বিরুদ্ধে ৭৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন এক ইনিংসে।
জলজ এবং আকাশের আগে র়ঞ্জি ট্রফিতে ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন আরও ছ’জন ক্রিকেটার। তালিকায় প্রথম নাম রেলওয়েজের হায়দর আলি। তিনি ১৯৬৯-৭০ মরসুমে জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ২৫ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশের আশিস জ়াইদি বিদর্ভের বিরুদ্ধে ৪৫ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তালিকায় তৃতীয় নাম গোয়ার ফয়জল শেখ। তিনি ২০০২-০৩ মরসুমে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ২৯ রানে ৯ উইকেট নেন। ২০১২-১৩ মরসুমে অঙ্কিত চহ্বন মুম্বইয়ের হয়ে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে মেঘালয়ের সঞ্জয় যাদব ৫২ রান খরচ করে ৯ উইকেট নেন নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে মণিপুরের ফেইরোইজম জোটিন সিংহ সিকিমের বিরুদ্ধে ৬৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন।
রঞ্জি ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জন ক্রিকেটার ইনিংসে নয় বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। দু’জন নিয়েছেন ১০ উইকেট করে। বাকি আট জন ৯ উইকেট পেয়েছেন। তবে একই মরসুমে একাধিক ক্রিকেটারের এমন কীর্তির নজির আর নেই।