এক ম্যাচের চমক হয়ে থাকতে রাজি নন ইডেন। এর পরে কঠিন প্রতিপক্ষ গুজরাত। সেখানে উইকেট, পরিবেশ সব আলাদা। তাই সেখানে সফল হতে হলে আরও ঘাম ঝরাতে হবে। সেটা জানেন ইডেন। গুজরাতের বড়দের বিরুদ্ধেও এ বার ভাল বল করতে চান ইডেন।
ইডেন এপ্পল টম। ছবি: টুইটার
রঞ্জি ট্রফির জন্য কেরল দল ঘোষণা হওয়ার সময় সবার নজরে পড়েছিল দু’টি নাম। এক, ৯ বছর নির্বাসনে কাটানোর পরে ফের রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়া বোলার এস শ্রীসন্থ। দুই, মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া ইডেন এপ্পল টম। নেটে তাঁর বল করা দেখে তাঁকে রাজ্য দলে সুযোগ দিয়েছিলেন কেরলের কোচ টিনু ইউহানন। অভিষেকেই সবার নজর কেড়েছেন ইডেন। হয়েছেন ম্যাচের সেরা।
মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ১৬৬ রানে জিতেছে কেরল। তার সিংহভাগ কৃতিত্ব প্রাপ্য ইডেনের। প্রথম ইনিংসে ৪১ রান দিয়ে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর গতি, লাইন ও লেংথের সামনে সমস্যায় পড়েছেন মেঘালয়ের ব্যাটাররা। দুই ইনিংসেই নিজের প্রথম বলে তিনি আউট করেন যথাক্রমে কিশন লিংডো ও ডি রবি তেজাকে।
২০১৮ সালে ভারতে আসেন ইডেন। তার আগে থাকতেন দুবাইয়ে। সেখানে আট বছর বয়স থেকে কেরলের প্রাক্তন অধিনায়ক সনি চেরুভাথুরের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতেন। চেরুভাথুরের পরামর্শেই ভারতে ক্রিকেট কেরিয়ার তৈরি করার জন্য তিরুঅনন্তপুরমে আসেন ইডেন। সেখানে এসে কার্তিক রাজনের অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। কঠিন পরিশ্রমের ফলে কেরলের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পান ইডেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে গুজরাতের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেন ইডেন। তার ফলেই রঞ্জির প্রস্তুতি শিবিরে নেট বোলার হিসাবে ডাকা হয় তাঁকে। সেখানে ইডেনের বোলিং দেখে তাঁকে রাজ্য দলে ডেকে নেন টিনু। তাঁর এই সিদ্ধান্তে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাও সম্মতি জানায়। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তা প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করেছেন ইডেন।
তবে এক ম্যাচের চমক হয়ে থাকতে রাজি নন ইডেন। এর পরে কঠিন প্রতিপক্ষ গুজরাত। সেখানে উইকেট, পরিবেশ সব আলাদা। তাই সেখানে সফল হতে হলে আরও ঘাম ঝরাতে হবে। সেটা জানেন ইডেন। যে গুজরাতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ভাল বল করায় রঞ্জি দলে জায়গা হল তাঁর, সেই গুজরাতের বড়দের বিরুদ্ধেও এ বার ভাল বল করতে চান ইডেন।