দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান তুলে বাংলার সামনে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য রাখে বরোদা। চতুর্থ ইনিংসে সেই রান তোলা যে কোনও পরিস্থিতিতেই কঠিন ছিল। কিন্তু অধিনায়ক অভিমন্যু শুরু থেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে শুরু করেন। ৭৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গী হন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৩৩ রান করেন তিনি।
৭৯ রান করেন অভিমন্যু। —ফাইল চিত্র
রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে বিপর্যয়ের পর চতুর্থ ইনিংসে দুরন্ত লড়াই অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। ৩৪৯ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিল বাংলা।
কটকে প্রথম দিন বাংলার বোলারদের দাপট ছিল। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বরোদা। ১৮১ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে হতাশ করেন মনোজ তিওয়ারিরা। হুড়মুড় করে ভেঙে পরে বাংলার ব্যাটিং। শেষ হয়ে যায় মাত্র ৮৮ রানে। সেই দিনের শেষে বাংলার কোচ অরুণ লাল বলেছিলেন যে, দলকে ভাল ব্যাট করতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটাই করে দেখালেন অভিমন্যুরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান তুলে বাংলার সামনে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য রাখে বরোদা। চতুর্থ ইনিংসে সেই রান তোলা যে কোনও পরিস্থিতিতেই কঠিন ছিল। কিন্তু অধিনায়ক অভিমন্যু শুরু থেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে শুরু করেন। ৭৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গী হন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৩৩ রান করেন তিনি।
রবিবার যদিও শুরুতেই ফিরে যান অভিমন্যু। বাংলার রান এগিয়ে নিয়ে যান মনোজরা। ৩৭ রান করেন তিনি। শেষ বেলায় শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক পোড়েল দলকে জয়ের পথ দেখান। অর্ধশতরান করেন শাহবাজ। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে তরুণ অভিষেকও অর্ধশতরান করেন। দু’জনেই অপরাজিত থেকে বাংলাকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। শাহবাজ অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে আর অভিষেক অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রঞ্জি। সেই দিনে ঈশান নেন ৪ উইকেট এবং মুকেশ নেন ৩ উইকেট। বরোদার বাকি উইকেট নেন আকাশ দীপ এবং শাহবাজ। ব্যাট করতে নেমে বাংলার পাঁচ ব্যাটার ০ রানে ফিরে যান। মনোজ, অনুষ্টুপরাও শূন্য করেন। দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ২১ রান। সুদীপ কুমার ঘরামি এবং অভিষেক সেই রান করেছিলেন। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘‘আমাদের ভাল করে ব্যাট করতে হবে। লড়াই করতে হবে নইলে এই ম্যাচ হেরে যাব আমরা। উইকেট যেমন রয়েছে তাতে লড়াই করা সম্ভব।’’ সেই লড়াইটাই করলেন শাহবাজরা।
শনিবার দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন অভিমন্যু এবং অনুষ্টুপ। দিনের শেষে অনুষ্টুপ বোলারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। পর পর দু’দিন আমাদের বোলাররা বল করেছে এবং খুব ভাল বল করেছে। আমাদের এ বার বিশ্বাস করতে হবে যে এই ব্যাটিং লাইনআপ ঘুরে দাঁড়াবে। ভাল জুটি গড়তে পারলে আমাদের পক্ষে জেতা সম্ভব।’’ রবিবার দিনের শুরুতে অভিমন্যু ফিরে যান। খুব বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি অনুষ্টুপও। কিছুটা লড়াই করেন মনোজ। তবে শেষ বেলায় বাংলার হয়ে জয়ের রান তোলেন শাহবাজ এবং অভিষেক।