ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করার পর কেন উইলিয়ামসন। ছবি: পিটিআই
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে তখন সকাল ১০টা ৩৫। মিডউইকেট দিয়ে বল বাউন্ডারির দড়ি টপকাতেই নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন একটা অধ্যায় লেখা হয়ে গেল। ৮৫ বলে ২৯ রান করে টেস্টে নিউ জ়িল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু উৎসব? নতুন করে ‘গার্ড’ নিয়ে শুধু দেখে নিলেন ইংরেজরা ফিল্ডিংয়ে কোনও পরিবর্তন করেছেন কি না। তার পর আবার ব্যাটিং শুরু করলেন।
ইতিহাস তৈরি করেও প্রাক্তন কিউই অধিনায়কের এতটা উচ্ছ্বাসহীন থাকার কারণ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ফলো-অন করতে নেমে তখনও ২০ রান পিছিয়ে নিউ জ়িল্যান্ড। এর পাঁচ ঘণ্টা এবং ১৪১ বল পরে উইলিয়ামসনের ব্যাট উপরে উঠল, হেলমেট মাথা থেকে নামল। ২৬ নম্বর টেস্ট শতরান। ২২৬ বলের সেই শতরানের ইনিংসের সুবাদে নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮৩। ফলো-অন করতে নেমে কিউইদের এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ড ১ উইকেটে ৪৮। জেতার জন্য তাদের এখনও ২১০ রান দরকার। নিউ জ়িল্যান্ডের চাই ৯ উইকেট।
টেস্টে উইলিয়ামসনের মোট রান হল ৭৭৮৭। তাঁর গড় ৫৩.৩৩। তিনি টপকে গেলেন রস টেলরকে। ৪৪.৬৬ গড়ে ৭৬৮৩ রান রয়েছে টেলরের। এর পর রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং (৭১৭২), ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (৬৪৫৩)।
নিউ জ়িল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে উইলিয়ামসনের ১৩২ রানের অবদান যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে টম ব্লান্ডেলের ৯০ এবং ড্যারিল মিচেলের ৫৪ রানের ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে মিচেল এবং উইলিয়ামসন ৭৫ রান যোগ করেন। উইলিয়ামসন এবং ব্লান্ডেলের ষষ্ঠ উইকেটে যোগ হয় ১৫৮ রান। উইলিয়ামসন আউট হতেই নিউ জ়িল্যান্ডের বাকি ইনিংস দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাঁকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙেন হ্যারি ব্রুক। ইংরেজ বোলারদের মধ্যে জ্যাক লিচ ৫ উইকেট নেন। অলি রবিনসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জো রুট এবং ব্রুক ১টি করে উইকেট নেন।
২৫৮ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড চতুর্থ দিনের শেষে ১ উইকেটে ৪৮। টিম সাউদির বলে ফিরে যান জ্যাক ক্রলি (২৪)। উইকেটে রয়েছেন বেন ডাকেট এবং রবিনসন। ডাকেট ২৩ রানে, রবিনসন ১ রানে উইকেটে।