ICC ODI World Cup 2023

ভারতের জন্যই বিশ্বকাপে বাড়তি সুবিধা পাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অসুবিধাও হবে! বলছেন বোলার

ভারতের উইকেটগুলো সাধারণ ভাবে জোরে বোলারদের সহায়ক হয় না। তাই এক দিনের বিশ্বকাপ নিয়ে জোরে বোলিংয়ের উপর নির্ভরশীল দেশগুলি কিছুটা চিন্তায় রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ১৪:১৯
Share:

এক দিনের বিশ্বকাপ ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

এক দিনের বিশ্বকাপের আসর এ বার বসবে ভারতে। কিছুটা চিন্তায় জোরে বোলিংয়ের উপর বেশি নির্ভরশীল দেশগুলি। কারণ ভারতের পিচগুলি সাধারণত স্পিন সহায়ক হয়। জোরে বোলারদের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবু আশার আলো দেখছেন কাগিসো রাবাডা।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা রাবাডা। ভারতের পিচে সাফল্য পাওয়া কঠিন হলেও বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী তিনি। আইপিএলের অভিজ্ঞতা সাহায্য করবে বলে মনে করছেন রাবাডা। শুধু নিজের নয়, দলের পারফরম্যান্স নিয়েও আশাবাদী তিনি। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও আন্তর্জাতিক সূচি নেই। অগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ় খেলবেন রাবাডারা। দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলারের মতে, বিশ্বকাপের আগে এই বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এক দিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা কেমন? রাবাডার উত্তর, ‘‘ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে হবে। মনে হচ্ছে এ বার আমরা কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় থাকব। কারণ আমাদের অনেকেই বেশ কয়েক বছর ধরে আইপিএল খেলছে। ভারতের সব মাঠে না হলেও অধিকাংশ মাঠেই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। তাই আমাদের পরিবেশ বুঝতে সমস্যা হবে না।’’ তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি টি-টোয়েন্টি লিগকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন।

Advertisement

গত আইপিএলে পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন রাবাডা। আইপিএলে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। ভারতের উইকেটগুলি সম্পর্কে তাঁদের সকলের একটা ধারণা রয়েছে। ২৮ বছরের জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘ভারতের উইকেট জোরে বোলারদের জন্য বেশ কঠিন। এটাই আগামী বিশ্বকাপে আমাদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমার এখন চ্যালেঞ্জ নেওয়ারই বয়স। সুবিধা হচ্ছে ভারতের উইকেটগুলো সম্পর্কে একটা ধারণা রয়েছে আমার। নতুন কারও পক্ষে যেটা জানা সম্ভব নয়। সব সময় শেখার চেষ্টা করি। যাতে বিভিন্ন ধরনের উইকেটে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারি।’’

ক্রিকেটে ফলের পিছনে উইকেটের কিছুটা ভূমিকা থাকে। তা অজানা নয় রাবাডার। তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেটের চরিত্র বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। সেই মতো পরিকল্পনা করে প্রথম একাদশ বেছে নিলে লক্ষ্যে পৌঁছনো সহজ হয়। পরিবেশ বোঝা এবং সেই মতো পারফরম্যান্স করা জরুরি। দুটো ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’’ উল্লেখ্য, কখনও এক দিনের বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement