ধারাভাষ্য করার সময় ফিল্ডারের লাথি খেয়ে পড়ে যান জাইনাব আব্বাস। তার পরেও পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন তিনি। —ফাইল চিত্র
ফিল্ডিং করতে গিয়ে দু’জন ফিল্ডারের মধ্যে সংঘর্ষ ক্রিকেটের পরিচিত ছবি। কিন্তু তাই বলে বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক সঞ্চালিকাকে গিয়ে সরাসরি লাথি, এ দৃশ্য খুব একটা বেশি দেখা যায় না। সেটাই দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায়। খেলা চলাকালীন ফিল্ডারের স্লাইডে মাটিতে পড়ে গেলেন সঞ্চালিকা জাইনাব আব্বাস। বড় দুর্ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। পড়ে যাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ধুলো ঝেড়ে উঠে পড়েন জাইনাব। জানান, তাঁর পায়ের পেশি ঠিক আছে। ফিল্ডারকে নিজের হাসি উপহার হিসাবে দেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি লিগে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের বিরুদ্ধে এমআই কেপটাউনের ম্যাচে এই ঘটনা ঘটেছে। সানরাইজার্সের ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে স্যাম কারেনকে মিড উইকেটে তুলে মারেন মার্কো জানসেন। বাউন্ডারির দিকে বল যাচ্ছিল। বাউন্ডারি বাঁচাতে দু’দিক থেকে দু’জন ফিল্ডার ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হন। ঠিক সেখানেই বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়িয়ে তখন ধারাভাষ্য করছিলেন জাইনাব। দু’জন ফিল্ডারের মধ্যে এক জন স্লাইড করে বল বাঁচাতে গিয়েছিলেন। তার পর নিজের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে জাইনাবের পায়ে ধাক্কা মারেন।
ফিল্ডারের লাথি খেয়ে মাটিতে পড়ে যান জাইনাব। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য উঠে পড়েন তিনি। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধাক্কা লাগার ঠিক আগে জাইনাব বলছেন, ‘‘ওরা কিন্তু আমাদের দিকেই আসছে।’’ ঘটনার পরে নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি সঞ্চালিকা। তিনি জানান, ভাল আছেন। কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁকে হাসতে দেখে আস্বস্ত হন ফিল্ডারও। সঞ্চালিকার এই মানসিকতার প্রশংসা করেছে সম্প্রচারকারী চ্যানেল।
প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করেছিল কেপটাউন। তার পরেও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। নেপথ্যে জানসেনের মারকুটে ব্যাটিং। ২৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কেপটাউনের কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি। এমনকি রশিদ খানের এক ওভারে ২৮ রান করেন। ৭টি ছক্কা ও ৩টি চার মারেন।