টুইটারে একটি পোস্টের সাহায্যে পাক বোর্ড জানিয়েছে, বাবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। ফাইল ছবি
সতীর্থের বান্ধবীর সঙ্গে যৌনগন্ধী কথাবার্তা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) পাশে পেলেন বাবর আজম। বুধবার রাতে বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুলেছে পিসিবি। টুইটারে একটি পোস্টের সাহায্যে তারা জানিয়েছে, বাবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।
বাবরের যৌনগন্ধী কথাবার্তার সেই ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে গিয়েছিল সমাজমাধ্যমে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে খবরও হয়। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স স্পোর্টস’ তা নিয়ে প্রতিবেদন লেখে। সেই প্রতিবেদন তারা টুইটও করে। এই টুইটের প্রেক্ষিতেই পিসিবি-র তরফে পাল্টা টুইট করে লেখা হয়, “ওরা আমাদের মিডিয়া পার্টনার। এ ধরনের অসত্য ব্যক্তিগত অভিযোগ ওরা উপেক্ষা করলেই ভাল হত। এতটাই জঘন্য অভিযোগ যে বাবর আজম নিজেও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।”
এর পরেই ওই সংবাদমাধ্যম টুইট এবং প্রতিবেদন, দুটোই মুছে দেয়। এই টুইট ছাড়া অন্য কোনও সরকারি বিবৃতি পাক বোর্ডের তরফে এখনও মেলেনি। বাবর নিজেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে টুইটারে ছুটি কাটানোর একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি, যা দেখে অনেকের ধারণা, এটাই পাক অধিনায়কের নিঃশব্দ জবাব।
রবিবার রাত থেকে বাবরের ব্যক্তিগত ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্ট করা হয় কিছু ভিডিয়োও। সেখানে বাবরের সঙ্গে এক মহিলাকে যৌন কথাবার্তা বলতে দেখা গিয়েছে। অনেকে আবার বলেছেন, সেটি পাকিস্তানের এক ক্রিকেটারের বান্ধবী। তাঁকে বাবর বলেছেন, যদি এই ধরনের কথাবার্তা তিনি চালিয়ে যান, তা হলে পাকিস্তানের ওই ক্রিকেটারকে জাতীয় দল থেকে কখনও বাদ দেওয়া হবে না। সেই ভিডিয়ো বা ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
অনেকেই এই ঘটনায় সমালোচনা শুরু করলেও বাবরের পাশে দাঁড়ানো সমর্থকের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের দাবি, পাক অধিনায়কের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর বিরোধীরা এ ধরনের কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, অতীতে হামিজা মুখতার নামে এক মহিলাকে নির্যাতন করার অপরাধে নাম জড়িয়েছিল বাবরের। বাবরের আচরণ নিয়ে থানায় অভিযোগও জানান ওই মহিলা। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাবর যৌন নির্যাতন করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছেন।