লক্ষ্য: ভারতের মাটিতে সফল হতে চান অ্যান্ডারসন। —ফাইল চিত্র।
সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজ় সিরিজ়ে তিনি প্রত্যাশা মতো বল করতে পারেননি। তাঁর নতুন বলের সঙ্গী স্টুয়ার্ট ব্রড ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ৪২ বছর বয়সে পা রাখা জিমি অ্যান্ডারসন এখন খেলা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। আর তাঁর নজর পরের বছরের ভারত সফরে। তবে বিরাট কোহলির দেশে আসতে চান না মইন আলি। ইংরেজ স্পিনার এই কথা সরাসরি বলে দিয়েছেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে। এমনকি এও বলেছেন যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বার্তা পাঠালেও তিনি তা গ্রহণ করতে পারবেন না।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রে নিজের কলামে মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন অ্যান্ডারসন। অ্যাশেজ়ের ব্যর্থতা ভারত সফরে মুছে ফেলতে চান তিনি। এই বর্ষীয়ান পেসার লিখেছেন, ‘‘আমি আপাতত দু’মাস বিশ্রাম নিতে চাই।’’ নিজেকে ফিট রাখার জন্য ট্রেনিং করে যাবেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু টানা বল করে যাওয়ার যে রুটিন তিনি মেনে চলতেন, তা আপাতত বন্ধ রাখবেন। বিশ্রাম নিয়ে যে তিনি তরতাজা হয়ে ফিরতে পারবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ইংল্যান্ড পেসার।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড দল পরিচালন সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বলেছি, অ্যাশেজ়ে যা অবদান রাখতে চেয়েছিলাম, সেটা পারিনি। কিন্তু আমি এখনও দলকে অনেক কিছু দিতে পারি। বিশেষ করে ভারতের মতো সফরে।’’ তবে অ্যান্ডারসন জানিয়ে দিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই নির্বাচকরা নেবেন। এবং, সে দিকেই তিনি তাকিয়ে আছেন।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন মনে করেন, ভারত সফরে অ্যান্ডারসনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। বিশেষ করে যেখানে স্টুয়ার্ট ব্রড অবসর নিয়ে নিয়েছেন। আগামী বছর জানুয়ারিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ় খেলতে ভারতে আসবে ইংল্যান্ড। যেখানে ব্রড এবং অলরাউন্ডার মইন আলিকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। দু’জনেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন। আইসিসি রিভিউয়ে নাসের হুসেন বলেছেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে জিমির রেকর্ড খুবই ভাল। ওই সফরে একটা ভারসাম্যযুক্ত বোলিং আক্রমণ দরকার। যেখানে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের মিশ্রণ থাকবে।’’
মইন নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের সূচি নিয়ে আলোচনার সময় এবং খেলার কেন্দ্রগুলি সামনে আসার পরে ম্যাককালাম আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি খেলব কি না। তখনই কিন্তু বলে দিয়েছিলাম যে, আমি ভারতে যাব না। আমার কাজ শেষ। অ্যাশেজ়ে খেলে এই ভাবে দারুণ একটা সমাপ্তির অংশ হওয়াটাই ভাল মনে করি।’’