ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ২১৩ রান করেন যশস্বী। —ফাইল চিত্র
ইরানি কাপ জিতে নিল অবশিষ্ট ভারত। যশস্বী জয়সওয়ালের দু’ইনিংসে বড় রানের সঙ্গে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং মুকেশ কুমারের দাপটে ২৩৮ রানে হারল মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ৪৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অবশিষ্ট ভারত। কিন্তু গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ শেষ হয়ে যায় ১৯৮ রানে। ম্যাচের সেরা যশস্বী।
প্রথম ইনিংসে ২১৩ রান করেন যশস্বী। মুম্বইয়ের ওপেনার অবশিষ্ট ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করেন। ২১ বছরের যশস্বী এ বারের রঞ্জিতে পাঁচ ম্যাচে ৩১৫ রান করেন। তাঁর গড় ৪৫। একটি শতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। কিন্তু অবশিষ্ট ভারতের হয়ে খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই রান পেলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৪৪ রান। যা তাঁর দলকে বড় রানের লক্ষ্য তৈরি করতে সাহায্য করে।
যশস্বীর সঙ্গে ছিলেন অভিমন্যু। বাংলার ওপেনার অবশিষ্ট ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও মাত্র ২৮ রান করেই আউট হয়ে যান তিনি। বাংলাদেশ সফরে ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া অভিমন্যু বড় রান করে আরও এক বার জাতীয় দলে নিজের জায়গায় দাবি জানিয়ে রাখলেন। যে সময় লোকেশ রাহুল রান পাচ্ছেন না। শুভমন গিল ইনদওরে রান করতে পারেননি। সেই সময় যশস্বী এবং অভিমন্যুর ব্যাটে রান চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে রাহুলদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখানোর ফলে আগামী দিনে যে অভিমন্যু বা যশস্বীকে ভারতের জার্সিতে দেখা যেতেই পারে।
বল হাতে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন বাংলার মুকেশও। রঞ্জিতে উইকেট পাচ্ছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ডাক পেয়েছেন। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি তাঁর। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে দু’ইনিংস মিলিয়ে মুকেশ নেন চার উইকেট। দুই ইনিংসেই প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে মধ্যপ্রদেশকে ধাক্কাটা দিয়েছিলেন বাংলার পেসার। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন পুলকিত নারাং। সার্ভিসেসের এই স্পিনার দু’ইনিংস মিলিয়ে নেন ৬ উইকেট। মধ্যপ্রদেশের হয়ে শতরান করেন যশ দুবে (১০৯)। আবেশ খান দু’ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নিলেও দলকে জেতাতে পারেননি।