—প্রতীকী চিত্র।
পল ভলথাটির বোন প্রয়াত। সোমবার মুম্বইয়ের একটি আবাসনে আগুন লাগে। সেখানেই ছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটারের বোন। শুধু তিনি নন, মারা গিয়েছে ভলথাটির বোনপোও। যে সময় আগুন লাগে, ওই সময় ভলথাটি নিজেও ওই আবাসনের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছেন।
ভলথাটির বোন গ্লোরি ভলথাটি (৪৫) এবং তাঁর ছেলে জশুয়া (৮) স্কটল্যান্ডে থাকতেন। মুম্বই এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। ভলথাটির মা এবং বাবা শয্যাশায়ী। সেই কারণেই দেখা করতে এসেছিলেন গ্লোরি এবং তাঁর ছেলে জশুয়া। ভলথাটি পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুম্বইয়ের ওই আবাসনের এফ উইংয়ের পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ভলথাটি, তাঁর স্ত্রী, সন্তান এবং গ্লোরির বড় মেয়ে নীচে নেমে যান। নীচে নামছিলেন গ্লোরি এবং বাড়ির দুই কর্মচারী। কিন্তু তাঁরা সিঁড়িতে আটকে যান।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভলথাটি পরিবারের এক সদস্য গ্ল্যাডস্টোন বোহরা বলেন, “গ্লোরির স্বামী নোয়েল রবার্ট ফ্ল্যাটের মধ্যে অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ছিলেন। বাকি সবাইকে ঘর থেকে বার করে দেন তিনি। গ্লোরি এবং বাকিদের সিঁড়ি দিয়ে ছাদে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্লোরি এবং তাঁর ছেলে নীচের দিকে নামতে যায়। আমরা জানি না ওরা কেন নীচে নামার চেষ্টা করেছিল।”
২০১১ সালের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (এখন পঞ্জাব কিংস) দলের হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন। সেটাই এই বছর পর্যন্ত ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা কোনও ব্যাটারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। যে রেকর্ড এই বছরের আইপিএলে যশস্বী জয়সওয়াল ভেঙে দেন।
ভলথাটি কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। কিন্তু ২০১১ সালের আইপিএলে তিনি মোট ৪৬৩ রান করেছিলেন। কিন্তু চোট এবং ফর্মে না থাকা বার বার তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের পথা বাধা হয়েছে। ২০০২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলতে গিয়ে চোখে চোট পেয়েছিলেন ভলথাটি। সেটার কারণেও তাঁর কেরিয়ার শুরু হওয়ার আগেই থমকে গিয়েছিল। সেই চোট সারলেও এখনও চোখে সমস্যা রয়েছে গিয়েছে ভলথাটির। অনেক সময়ই এক জিনিস দু’টি দেখেন তিনি।