নীতীশকে অধিনায়ক করার পাঁচ কারণ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন। — ফাইল চিত্র
দৌড়ে ছিলেন অনেকে। সেখানে যেমন ছিল আন্দ্রে রাসেলের মতো কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘ দিন খেলা নাম, তেমনই ছিল শাকিব আল হাসান, লিটন দাসের মতো প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট অধিনায়কের নামও। সবাইকে টপকে শ্রেয়স আয়ারের বদলি অধিনায়ক হিসাবে নীতীশ রানাকে বেছে নিল কলকাতা। কেন তাঁকে বাছল কলকাতা?
অধিনায়কত্বের ব্যাপারে তিনি যে নতুন, এমনটা বলা যাবে না। অতীতে সাদা বলের ক্রিকেটে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দু’টি ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন নীতীশ। নীতীশের অধিনায়ক হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এমনই পাঁচ কারণ বিশ্লেষণ করল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) দলের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত চেয়েছিলেন দেশীয় ক্রিকেটার অধিনায়ক হোন। নীতীশ বাদে আর কোনও দেশীয় ক্রিকেটার প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পাবেন, এমনটা হলফ করে বলা যায় না।
২) অতীতে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তাঁকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। সীমিত ওভারে তাঁর অধীনে দিল্লি খুব একটা খারাপ খেলেনি।
৩) নীতীশ দলে সবার পছন্দের ক্রিকেটার। কোনও ‘গোষ্ঠী’ নেই তাঁর। কোচ চন্দ্রকান্তও তাঁকে পছন্দ করেন। ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে জুড়ি নেই। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফল করতে গেলে যা দরকার।
৪) শাকিব, লিটনকে ছাড়া নিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশ বোর্ড বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করেছে। যা অবস্থা, তাতে প্রথম দু’টি ম্যাচে তাঁদের পাওয়া যাবে না। যাঁকে প্রথম দুই ম্যাচে পাওয়া যাবে না, সে রকম কাউকে অধিনায়ক করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়নি কেকেআর।
৫) রাসেল ছিলেন অধিনায়কের দৌড়ে। কিন্তু তিনি এমনিতেই দলের প্রধান অলরাউন্ডার। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই তাঁর ঘাড়ে। অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে আরও চাপে ফেলতে চায়নি কেকেআর।
প্রশ্ন একটাই, ঘরোয়া ক্রিকেট আর আইপিএলে সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। এখানে শুধু দর্শক নয়, সামলাতে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যাশার চাপও। সে সব সামলে নীতীশ কেমন নেতৃত্ব দেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।