২০১৫ সালে দিল্লির মোট ২২ জন ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করে বোর্ড। তার মধ্যে ছিল নীতীশের নাম। — ফাইল চিত্র
শ্রেয়স আয়ারের বদলে কলকাতা নাইট রাইডার্স নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে। এ বার আইপিএলে কেকেআরের নেতৃত্বে নীতীশ রানা। দিল্লির হয়ে খেলতে গিয়ে এক সময় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ। জুনিয়র পর্যায়ে রাজ্য দলের হয়ে খেলার সময় বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে তাঁকে নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই।
২০১৫ সালে দিল্লির মোট ২২ জন ক্রিকেটারকে নির্বাসিত করে বোর্ড। তার মধ্যে ছিল নীতীশের নাম। যে কোনও বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তাঁর খেলার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে নীতীশ তত দিনে দিল্লির সিনিয়র দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন। বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা ছিল শুধু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের উপরে। তাই নীতীশের ক্রিকেট খেলায় কোনও বাধা পড়েনি। যে বছরে বয়স ভাঁড়ানোয় অভিযুক্ত হয়েছিলেন, সে বছরই রঞ্জিতে অভিষেক হয় তাঁর। তার আগেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন।
রঞ্জিতে প্রথম মরসুমেই দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন নীতীশ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল তাঁর ফিল্ডিংও। বড় শট মারার ক্ষমতা তাঁকে আইপিএলে জায়গা করে দেয়। ২০১৫-র নিলামে তাঁকে কিনে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে একটিও ম্যাচে খেলতে পারেননি। ২০১৬-য় তাঁকে ধরে রেখেছিল মুম্বই। সে বার মাত্র চারটি ম্যাচে খেলেন।
২০১৭-য় ১৩টি ম্যাচে খেলেছিলেন নীতীশ। তবে মুম্বই দলে রাখেনি। পরের বছর কলকাতা নিলামে কিনে ফেলে তাঁকে। সে বছরই সূর্যকুমার যাদবকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেই সময়ে কলকাতার সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু ক্রমশ নিজেকে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলেন নীতীশ। সূর্যকুমারের মতো উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু মাঝের সারিতে নীতীশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং প্রতি ম্যাচেই প্রথম একাদশে তাঁকে সুযোগ করে দিয়েছে। শুধু মাঝের সারিতে নয়, দলের দরকারে ওপেনও করেছেন তিনি।