বাবর আজ়ম এবং রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। রবিবার সমস্ত সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল। আইসিসি পাকিস্তান বোর্ডকে (পিসিবি) লিখিত আকারে জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে ভারতীয় ক্রিকেট দল খেলতে যাবে না। ভারতীয় বোর্ডের (বিসিসিআই) ই-মেল পাওয়ার পরেই পাক বোর্ডকে এ কথা জানিয়েছে আইসিসি। ভারতের ম্যাচগুলি হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।
এ দিন পাক বোর্ডের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আইসিসি-র থেকে একটি ই-মেল পেয়েছে পিসিবি। বিসিসিআই যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানে দল পাঠাবে না সেটাই জানিয়েছে আইসিসি। তারা ই-মেল পাঠিয়ে দিয়েছে পিসিবি-কে। পরামর্শ এবং সাহায্য চেয়ে পিসিবি একই ই-মেল পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সরকারকে।” পাক বোর্ডের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও শুক্রবার পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি জানিয়েছিলেন, লিখিত ভাবে আইসিসি-র থেকে কোনও চিঠি পেলে তবেই আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণা করবে পাকিস্তান।
অতীতে বার বারই বিসিসিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের অনুমতির উপর নির্ভর করছে। ফলে সরকারের ছাড়পত্র না মেলাতেই বিসিসিআই এই চিঠি পাঠিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ‘হাইব্রিড মডেলে’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা ছাড়া উপায় নেই পিসিবি-র। অর্থাৎ ভারতের ম্যাচগুলি হবে অন্য দেশে।
দু’দিন আগেই নকভি জানিয়েছিলেন, তাঁরা ‘হাইব্রিড মডেলের’ কথা ভাবছেনই না। ভারতকে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এখনও পর্যন্ত ‘হাইব্রিড মডেল’ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে কথা বলতেও চাই না। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা ভাল ব্যবহার করছি। তাই বলে বার বার করব এমন আশা করা অন্যায়।”
যদিও অক্টোবরের শুরুতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে নকভি বলেছিলেন, “ভারতীয় দলের অবশ্যই আসা উচিত। আমার মনে হয় না ওরা বাতিল করবে বা আসা পিছিয়ে দেবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমরা সব দেশকে স্বাগত জানাতে তৈরি।”
নকভি এ কথা বললেও ভারতীয় বোর্ডের অবস্থান আলাদা ছিলই। কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট দেখতে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল পাঠানো নিয়ে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল বলেছিলেন, ‘‘আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের উপর। এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কোনও বিদেশ সফরের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেওয়াই নিয়ম। ভারতীয় ক্রিকেট দল কোনও দেশে সফরে যাবে কী যাবে না তা ঠিক করে কেন্দ্র। সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই সব কিছু নির্ভর করে।’’