বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। ১০২০ দিনের খরা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে শতরান এসেছিল। দু’বছর আগে এই দিনের আগেই অবশ্য আন্তর্জাতির ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন কোহলি। একটি শতরান সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করে তাঁকে।
রবিন উথাপ্পার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দু’বছর আগের সেই কথা টেনে আনেন কোহলি। সেই সময় খারাপ ফর্মে ছিলেন তিনি। রান পাচ্ছিলেন না। একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। ফলে এক মাস ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়ে নেন কোহলি। তার পরে আবার এশিয়া কাপে খেলতে নামেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, “সে বার এশিয়া কাপের সময় আমার মানসিক অবস্থা অন্য রকম ছিল। আমি সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভেবে নিয়েছিলাম, আমার কাছে এই এক মাস আছে। তার পরেই আমাকে অবসর নিতে হবে। তাতে আমি রাজিও ছিলাম। এক বার শেষ চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম।”
ব্যাটিং টেকনিকে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না তাঁর। পুরোটাই ছিল মানসিক। কোথাও যেন পুরো একাগ্রতা এক জায়গায় আনতে পারছিলেন না। কোহলি বলেন, “আমি বুঝতে পারছিলাম না কোথায় সমস্যা হচ্ছে। মানসিক ভাবে ঠিক জায়গায় না থাকলে এই সমস্যা হয়। গত ১৫ বছরে টেকনিক নিয়ে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। প্রায় ছ’সপ্তাহ ব্যাট হাতে তুলিনি। নিজের মনকে বুঝিয়েছি। বলেছি, এক বার শেষ চেষ্টা করব। হলে ভাল। না হলে ছেড়ে দেব। ঈশ্বর পাশে থেকেছেন। আবার রানে ফিরেছি।”
এশিয়া কাপে সেই শতরানের পরে কোহলির মনে হয়েছিল, একটা বড় চাপ নেমে গিয়েছে তাঁর কাঁধ থেকে। মনে হয়েছিল, এখনও ক্রিকেট বাকি রয়েছে তাঁর মধ্যে। সেটাই করেছেন তিনি। কোহলি বলেন, “ওই শতরান আমাকে অনেকটা স্বাভাবিক করেছিল। অনেকটা চাপ কমে গিয়েছিল। তার পর থেকে সব সময় ঠান্ডা মাথায় খেলার চেষ্টা করি। ক্রিকেটের কাছে মাথা নত করেছি। মাঠে যত ক্ষণ থাকি, উপভোগ করি। সেই খারাপ সময় আমার মানসিকতা বদলে দিয়েছে।”
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কোহলি। বিশ্বকাপ জিতে অবসরের ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে। তবে আইপিএল খেলবেন তিনি। দেশের হয়ে টেস্ট ও এক দিনের ম্যাচও খেলবেন। সামনেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে দেখা যাবে কোহলিকে।