শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে তত চিন্তা বাড়ছে রোহিত শর্মা ও রাহুল দ্রাবিড়ের। এ চিন্তা অবশ্য ভাল। প্রথম একাদশে কোন ১১ জনকে খেলানো হবে সেই চিন্তা। রোহিত, দ্রাবিড়ের সেই চিন্তা আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইন্দোরে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে শতরান করলেন তিনি। ১১ মাস করে এক দিনের ক্রিকেটে শতরান করলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্য়াটার। চোট সারিয়ে ফিরে এই শতরান আত্মবিশ্বাস জোগাবে শ্রেয়সকে।
ভারতের মিডল অর্ডারে কারা খেলবেন তা নিয়ে চলছে লড়াই। লোকেশ রাহুল রান পেয়েছেন। তাঁর খেলা নিশ্চিত। ঈশান কিশনও রানের মধ্যে আছেন। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। এ বার শতরান করলেন শ্রেয়সও। এই চার জনের মধ্যে কোন দু’জনকে চার ও পাঁচ নম্বরে খেলানো হবে তা নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হবে রোহিত, দ্রাবিড়কে।
প্রথম ম্যাচে শুরুতেই রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। তাই এই ম্যাচে রান করতে মুখিয়ে ছিলেন। প্রথম থেকেই বড় শট মারা শুরু করেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে রান তুলতে থাকেন শ্রেয়স। তিনি দ্রুত খেলায় চাপ কিছুটা কম পড়ে শুভমন গিলের উপর। মাঝে বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলেও শ্রেয়সের রানের গতি কমেনি। আবার খেলা শুরু হওয়ার পরে একই ভাবে বড় শট খেলছিলেন।
অর্ধশতরান করার পরে রানের গতি আরও বাড়ে শ্রেয়সের। ইন্দোরের মাঠ কিছুটা ছোট হওয়ায় সুবিধা হচ্ছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের গতি ব্যবহার করে উইকেটের সামনে তিনটি বড় ছক্কা মারেন শ্রেয়স। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন শুভমন। দু’জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল। শুভমন প্রথমে অর্ধশতরান করলেও প্রথমে শতরান করেন শ্রেয়স। ৮৬ বলে ১০০ হয় তাঁর। শেষ দিকে শতরান করার জন্য একটু ধীরে না খেললে আরও কম বলে এই কীর্তি হত শ্রেয়সের।
২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ১১১ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শ্রেয়স। তার পর থেকে আর তিন অঙ্কের রান আসেনি তাঁর ব্য়াটে। মাঝে বেশ কয়েক মাস চোটের কারণে বাইরে ছিলেন। অস্ত্রোপচার হয়েছে। আইপিএল খেলতে পারেননি। কিন্তু তার পরেও তাঁর উপর ভরসা দেখিয়েছে দল। সেই ভরসার দাম দিলেন শ্রেয়স।