ভারতীয় দলের সঙ্গে শিখর ধাওয়ান। ছবি: আরসিবি।
গত মাসে শিখর ধাওয়ানের ছেলে জ়োরাওয়ারের জন্মদিন ছিল। সেই নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার। কিন্তু সেই লেখা তাঁর ছেলের কাছে পৌঁছয়নি বলে মনে করছেন ধাওয়ান। সেই আক্ষেপ এখনও রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারের। জাতীয় দলে এখন আর জায়গা হয় না। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এখন ১০ বছরের ছেলের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন ধাওয়ান।
গত বছর ২৬ ডিসেম্বর জ়োরাওয়ারের জন্মদিন ছিল। সেই দিন ছেলের জন্য সমাজমাধ্যমে মনের কথা লিখেছিলেন ধাওয়ান। ভেবেছিলেন সেই লেখা ছেলে কাছে পৌঁছবে। কিন্তু তা হয়েছে কি না জানেন না ধাওয়ান। তিনি বলেন, “আমার কোনও কষ্ট ছিল না। নিজের মনের কথা লিখেছিলাম শুধু। পাঁচ মাস আগে শেষ বার কথা হয়েছিল ছেলের সঙ্গে। নিজের মনের মধ্যে যা চলছিল, সেটাই লিখেছিলাম ওর জন্মদিনে। আমি খুব আবেগপ্রবণ। ভালবাসাটাই জানাতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি যদি দুঃখে থাকি, তা হলে আমার ছেলের কাছেও নেতিবাচক বার্তা যাবে।”
ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না ধাওয়ান। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি যে, পোস্টটা নিয়ে এত কথা হবে। অনেক আশা নিয়ে লিখেছিলাম। ভেবেছিলাম আমার ছেলে ওটা পড়বে। ও যেখানেই থাকুক, আশা করি এক দিন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। আমি জ়োরাওয়ারকে জোর করব না। রোজ আমি ওকে কিছু না কিছু লিখি। কিন্তু জানি না আদৌ সেগুলো ওর কাছে যায় কি না। এক জন বাবা হিসাবে নিজের কর্তব্য করে যাচ্ছি আমি। দুঃখ হয়, কিন্তু সেটা নিয়ে থাকতে শিখে গিয়েছি।”
ছেলের জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে ধাওয়ান লিখেছিলেন, ‘‘তোমাকে এক বছর দেখিনি। প্রায় তিন মাস ধরে সব জায়গায় আমাকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তাই তিন মাস আগে শেষ বার তোমার সঙ্গে কথা বলার ছবিই দিলাম। শুভ জন্মদিন।’’ ধাওয়ান জানিয়েছেন, ছেলেকে দেখতে না পেলেও তাঁদের মধ্যে টেলিপ্যাথির যোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তোমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছি না। কিন্তু আমাদের টেলিপ্যাথির যোগ রয়েছে। তোমাকে নিয়ে গর্বিত। আমি জানি তুমি খুব ভাল আছ।’’
জন্মদিনের বার্তায় ছেলেকে মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়েছেন ধাওয়ান। ভারতীয় ব্যাটার লেখেন, ‘‘বাবা সব সময় তোমাকে মিস্ করে। ভগবানের আশীর্বাদে আমাদের আবার দেখা হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। প্রার্থনা করি তুমি নম্র, ভদ্র, ধৈর্যশীল এবং একই সঙ্গে শক্তিশালী হও। তোমার সঙ্গে দেখা না হলেও তোমাকে রোজ মেসেজ করি। তুমি ভাল আছ কি না সেই খোঁজখবর নিই। আমি কী করছি সেই কথাও জানাই। কিন্তু তুমি সে সব দেখতে পাও না। তোমার বাবা তোমাকে খুব ভালবাসে।’’