বাবা নওশাদ খান এবং স্ত্রীয়ের মাঝে সরফরাজ় খান। ছবি: এক্স।
একের পর এক রঞ্জি ট্রফিতে রান করেছেন। কিন্তু ভারতীয় দলে জায়গা হচ্ছিল না সরফরাজ় খানের। সেই দুঃখে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিদ্রোহী পোস্ট করতেও দেখা গিয়েছিল ভারতীয় ব্যাটারকে। অনুযোগ ছিল তাঁর বাবা নওশাদ খানেরও। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে জায়গা হল সরফরাজ়ের। আর সেই দিনেই ধারাভাষ্য দিতে দেখা গেল তাঁর বাবাকে।
রাজকোটে অভিষেক হল সরফরাজ়ের। তাঁর ভারতীয় দলের টুপি পাওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বাবা। তাঁর চোখে জল দেখা গিয়েছিল। ম্যাচ চলাকালীন সম্প্রচারকারী সংস্থার হিন্দি ভাষার ধারাভাষ্য বক্সে দেখা যায় নওশাদকে। সেখানে আকাশ চোপড়া জিজ্ঞেস করেন, “সরফরাজ়ের অভিষেক হওয়ার জন্য কি একটু বেশি দিন অপেক্ষা করতে হল?” উত্তরে নওশাদ বলেন, “রাত কো ওয়াকত চাহিয়ে গুজ়ারনে কে লিয়ে, লেকিন সূরজ মেরি মর্জি সে নেহি নিকালনে ওয়ালা।” বাংলা যার অর্থ, রাতের অন্ধকার কাটতে সময় লাগে, কিন্তু সূর্য আমার ইচ্ছা অনুযায়ী উঠবে না। তবে কি নওশাদের কথাতেও অভিমান ঝরে পড়ল? তিনি কি বোঝাতে চাইলেন ভারতীয় দলে তাঁর ছেলের আরও আগে জায়গা পাওয়া উচিত ছিল?
বৃহস্পতিবার সরফরাজ়ের অভিষেকের সময় তাঁর বাবা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী। তিনি কেঁদে ফেলেন। সরফরাজ়কে দেখা যায় স্ত্রীয়ের চোখের জল মুছিয়ে দিতে। স্ত্রীকে মাঠের মধ্যে জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ়।
বৃহস্পতিবার অনিল কুম্বলের হাত থেকে ভারতীয় দলের টুপি পান সরফরাজ়। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েছিল তাঁর পরিবার। নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না সরফরাজ়ের বাবা নওশাদ। কেঁদে ফেলেন তিনি। সরফরাজ়কে টুপি নিতে দেখে প্রথমে হাসছিলেন নওশাদ। তার পরেই কেঁদে ফেলেন তিনি। জামা দিয়ে চোখ ঢাকেন। টুপি পেয়ে প্রথমেই বাবার কাছে যান সরফরাজ়। তাঁকে টুপি দেখান। ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন বাবা। বোঝা যাচ্ছিল, এত বছরের অপেক্ষার অবসানের পরে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। চোখের জল বাধ মানছিল না নওশাদের। ছেলের টেস্ট টুপিতেও চুমু খান তিনি।