মায়াঙ্ক আগরওয়াল। —ফাইল চিত্র।
সতর্ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বার বার একই ভুল করতে চাইছেন না তিনি। গত মাসে বিমানে জল ভেবে কোনও তরল পদার্থ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মায়াঙ্ক। বিষক্রিয়া হয়েছিল তাঁর। আর যাতে সেই ঘটনা না ঘটে তার জন্য এখন সঙ্গে কী নিয়ে ঘুরছেন মায়াঙ্ক?
বিমানে এখন নিজের জলের বোতল সঙ্গে রাখছেন মায়াঙ্ক। কোনও ভাবেই অন্য কোনও পাউচ বা বোতল থেকে জল খাবেন না তিনি। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জলের বোতল হাতে নিজের ছবি দিয়েছেন মায়াঙ্ক। ক্যাপশনে লিখেছেন, “কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।”
গত মাসে ত্রিপুরা থেকে রঞ্জির ম্যাচ খেলে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মায়াঙ্ক। বিমানে নিজের আসনের সামনে রাখা একটি পাউচ থেকে কোনও তরল পদার্থ খেয়েছিলেন তিনি। কর্নাটক দলের ম্যানেজার বলেছিলেন, “বিমান ছাড়ার জন্য তৈরি। সেই সময় জল তেষ্টা পাওয়ায় সামনের আসনের পিছনে রাখা বোতল থেকে তরল কিছু খেয়ে ফেলে মায়াঙ্ক। কয়েক মিনিটের মধ্যে ওর গলায় অস্বস্তি শুরু হয়। সেই সঙ্গে বমি পায় মায়াঙ্কের। বিমানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন, বিমানবন্দরে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক এসে দেখেন মায়াঙ্ককে। তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই করা হয়।”
পরে পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি কিরণ কুমার বলেছিলেন, “আপাতত মায়াঙ্কের শরীর ঠিকঠাকই রয়েছে। ওঁর ম্যানেজার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স থানায়।” শোনা যাচ্ছে, বিমান পরিষ্কার করার কোনও তরল পদার্থ ভুল করে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন কোনও কর্মী। মায়াঙ্কের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওই অফিসার আরও বলেছিলেন, “ওঁর ম্যানেজার জানিয়েছেন, বিমানে নিজের আসনে বসার সময় সামনে একটি পাউচ রাখা ছিল। তার থেকে কিছুটা তরল পদার্থ উনি খান। তাতেই ওর মুখের ভিতরে অস্বস্তি শুরু হয়। কথাও বলতে পারছিলেন না। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওকে ভর্তি করা হয়। মুখের ভেতর ফুলে গিয়েছে এবং আলসার দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া বাকি সব ঠিকঠাক রয়েছে।” মায়াঙ্ককে ৪৮ ঘণ্টা কথা না বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে মায়াঙ্ক জানিয়েছিলেন তিনি কেমন আছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। মায়াঙ্ক সেই ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আগের থেকে ভাল আছি। মাঠের ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছি। সকলকে ধন্যবাদ আমাকে ভালবাসা, শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।” সুস্থ হয়ে ফেরার পর যে তিনি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তা মায়াঙ্কের কাজেই বোঝা যাচ্ছে।