জসপ্রীত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব লামলেছেন তিনি। পার্থে রোহিত শর্মা না থাকলেও সিডনিতে রয়েছেন। প্রথম একাদশের বাইরে তিনি। ফলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বুমরাহ। পার্থে ভারতকে জিতিয়েছেন বুমরাহ। এখন তিনি সহ-অধিনায়ক। দলের পরবর্তী অধিনায়ক হিসাবে অনেকেই বুমরাহের নাম করছেন। রোহিতের পর তিনি কি ভারতের অধিনায়ক হতে চান? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন বুমরাহ।
ভারতীয় পেসার মনে করেন, নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধিনায়কের পদের কোনও প্রয়োজন নেই। সিডনি টেস্টের মাঝেই তিনি বলেছেন, “আমার কাছে নেতৃত্ব কোনও পদ নয়। আমি যদি অধিনায়কত্ব না করি, তার পরেও অন্যদের সাহায্য করি। সেটা আমার কাজ। কারণ, আমাদের আসল লক্ষ্য দেশকে জেতানো। যে কেউ অধিনায়ক হোক না কেন, প্রত্যেকেরই একই লক্ষ্য থাকে।”
অধিনায়কের কাজ পুরো দলকে সামলানো। সামনে থেকে নেত্বত্ব দেওয়া। মাঠের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই কাজগুলি একমাত্র অধিনায়কের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেন বুমরাহ। তাঁর মতে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উচিত সেই দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া। বুমরাহ বলেছেন, “অধিনায়কের অনেক দায়িত্ব থাকে। কিন্তু শুধু তাকেই কেন সব দায়িত্ব সামলাতে হবে। দলের অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। প্রত্যেকের দায়িত্ব অধিনায়ককে সাহায্য করা। ক্রিকেটে দলগত খেলা। এখানে হার-জিত সব দল হিসাবে হয়। যদি আমি অধিনায়ক না হই তার পরেও এই কাজ করে যাব।”
পার্থে বুমরাহের নেতৃত্বে ভারত প্রথম টেস্ট জিতেছিল। কিন্তু পরের তিনটি টেস্ট রোহিতের নেতৃত্ব জয় আসেনি। একটি টেস্ট ড্র হয়েছে। দু’টি হারতে হয়েছে। অধিনায়ক রোহিতের সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এখনই বুমরাহকে পাকাপাকি ভাবে অধিনায়ক করার দাবি করেছেন। কিন্তু বুমরাহের চোটপ্রবণতা তাঁকে পিছিয়ে দিচ্ছে। চোটের কারণে সব সিরিজ়ে খেলেন না তিনি। তাঁকে বেছে বেছে খেলানো হয়। সি়ডনিতেও পিঠের পেশিতে চোট পেয়েছেন বুমহার। রবিবার তিনি বল করতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ফলে এমন এক জন কাউকে পাকাপাকি অধিনায়ক করা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।