ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছেন ঈশান কিশন। হার্দিক পাণ্ড্যর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি বেঁধেছেন তিনি। অর্ধশতরান করেছেন ঈশান। একটা সময় দেখে মনে হয়েছিল শতরানও হয়ে যাবে। কিন্তু ৮২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শতরান না করতে পারলেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নজির ছুঁয়েছেন ঈশান।
ভারতের হয়ে এক দিনের ক্রিকেটে পর পর চার ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন ঈশান। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলায় ভারতের এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পান ঈশান। লোকেশ রাহুল পুরো সুস্থ না থাকায় প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠেও নামেন ঈশান। দলকে চাপের মধ্যে থেকে বার করে আনেন ঈশান। করেন আর একটি অর্ধশতরান।
এর আগে ভারতের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসাবে পর পর চারটি এক দিনের ম্যাচে অর্ধশতরান করার নজির ছিল ধোনির। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে সেটি করে দেখালেন ঈশান। তাঁর এই ইনিংসের পরে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলিতে তাঁকে বসিয়ে রাখার সাহস দেখাবে না ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরুতে চাপে পড়ে যায় ভারতীয় ব্যাটিং। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফের দাপটে ৯.৫ ওভারে ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ফিরে যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আয়ার। ব্যাট করতে নামেন ঈশান। প্রথমে শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন তিনি। শুভমন আউট হওয়ার পরে হার্দিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। এই জুটিই ভারতকে লড়াই করার জায়গায় নিয়ে যায়।
ইনিংসের শুরুতে ধরে খেলছিলেন ঈশান। তাড়াহুড়ো করেননি। অহেতুক ঝুঁকি নেননি। সঠিক বলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। তবে খারাপ বল পেলে রেয়াত করছিলেন না। তার ফলে ঝুঁকি না নিয়েও ১০০-র স্ট্রাইক রেটে রান করছিলেন তিনি।
যত সময় এগোল তত হাত খুলে খেলা শুরু করেন ঈশান। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। এশিয়া কাপ অভিষেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেললেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। তবে একটা সময় পড়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন ঈশান। ফলে দৌড়তে পারছিলেন না। বড় রানের উপরেই নির্ভর করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শতরান করতে পারেননি ঈশান। ৮১ বলে ৮২ রান করে হ্যারিসের বলে পুল মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান ঈশান।