মহম্মদ সিরাজের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
প্রথম টেস্টে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দল যে এ ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজের দেশের মাটিতে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে গেল ৫৫ রানে। সেই ধ্বংসের কারিগর মহম্মদ সিরাজ। কেপ টাউনের মাটিতে আগুন ঝরালেন তিনি। তবে রেকর্ড ছোঁয়া হল না তাঁর। অল্পের জন্য সেরা হওয়া আটকে গেল। আর একটি উইকেট নিলেই ভারতীয়দের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় সেরা বোলিং ফিগার হত তাঁর।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয়দের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার রয়েছে শার্দূল ঠাকুরের। দু’বছর আগে গত বারের সফরে জোহানেসবার্গে ৬১ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন শার্দূল। প্রথম ইনিংসে তাঁর দাপটে ২২৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেই টেস্ট ভারত জিততে পারেনি। হেরে গিয়ে খুইয়েছিল সিরিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আরও একজন ৭ উইকেট নিয়েছেন। তিনি হরভজন সিংহ। ২০১১ সালে এই কেপ টাউনের মাঠেই হরভজন ১২০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার সাত ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। কিন্তু হরভজনের বোলিং থেকে গিয়েছিল সমর্থকদের মনে।
তবে সিরাজ যা করেছেন, তাতে রেকর্ড না হলেও অতীতের থেকে অনেক ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় বোলার হিসেবে ৬ উইকেট নিয়েছেন অনিল কুম্বলে, জাভাগল শ্রীনাথ, রবীন্দ্র জাডেজাও। তিনি সিরাজের মতো এত বিধ্বংসী বোলিং কেউ করতে পারেননি। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন সিরাজ। তাঁর বল খেলতে গিয়ে বিরাট অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল প্রোটিয়া ব্যাটারদের। প্রথম টেস্টে সে ভাবে সাফল্য না পেলেও দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ ভাবে ফিরে এলেন সিরাজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সব দেশের বোলার মিলিয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে ইংল্যান্ডের জর্জ আলফ্রেড লোমানের। তিনি ১৮৯৬ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে ২৮ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তার আগের টেস্টেই তিনি মাত্র ৭ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। এ ছাড়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে ইংল্যান্ডের সিডনি বার্নসের।