বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
নতুন বছরে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান। একই দিনে খেলা রয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার। এই বছর রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। বছরভর ক্রিকেটের নানা সিরিজ়। ২০২৩ সালে অনেক রেকর্ড ভেঙেছে, অনেক রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আগামী বছর কোন ৫ বড় রেকর্ড তৈরি হতে পারে ক্রিকেটের মাঠে?
টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক উইকেট
২০২৪ সালে ভেঙে যেতে পারে ডোয়েন ব্র্যাভোর রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে সব থেকে বেশি উইকেটের মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের এই ক্রিকেটার। তাঁর পিছনেই রয়েছে আফগানিস্তানের রশিদ খান। তিনি ৪১০ ম্যাচে ৫৫৬টি উইকেট নিয়েছেন। ব্র্যাভোকে টপকাতে তাঁর প্রয়োজন আর ৬৪টি উইকেট। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এখন আর খুব বেশি ক্রিকেট খেলেন না। সেখানে রশিদ সারা বিশ্বে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেন। তাই এই বছর ব্র্যাভোকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে রশিদের।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক রান
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের মালিক বিরাট কোহলি (৪০০৮)। তাঁর পরেই রয়েছেন রোহিত শর্মা (৩৮৫৩)। তৃতীয় স্থানে নিউ জ়িল্যান্ডের মার্টিন গাপ্টিল (৩৫৩১)। এই তিন জনেই এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খুব বেশি খেলেন না। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায়নি বিরাট-রোহিতকে। কিউই ব্যাটারও এখন আর আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ পান না। এমন অবস্থায় এই তিন ক্রিকেটারকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজ়মের। চতুর্থ স্থানে থাকা বাবর পাকিস্তানের হয়ে ৩৪৮৫ রান করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। তিনি চুটিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেন। তাই এই বছর তিনি সকলকে টপকে যেতে পারেন। তার জন্য বাবরকে করতে হবে আরও ৫২৪ রান।
পেসারের ঝুলিতে ৭০০ টেস্ট উইকেট
রেকর্ড গড়তে পারেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার ৪১ বছর বয়সেও টেস্ট খেলে চলেছেন। ১৮৩ টেস্টে ৬৯০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর ১০টি উইকেট নিলেই টেস্টের ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসাবে ৭০০ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন। ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় রয়েছে ইংল্যান্ডের। সেখানেই এই রেকর্ড গড়তে পারেন অ্যান্ডারসন। সেই সঙ্গে যদি তিনি আরও ১৯টি উইকেট টেস্টে নিতে পারেন তা হলে টপকে যাবেন শেন ওয়ার্নকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত স্পিনার টেস্টে ৭০৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়ার্নকে টপকে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে পারেন অ্যান্ডারসন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন বিজয়ী দল
শুধু ব্যক্তিগত নয়, এই বছর দলগত ভাবেও তৈরি হতে পারে রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে এই বছর। এখনও পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। এ বারের বিশ্বকাপে খেলবে ২০টি দল। তাই বিশ্বকাপজয়ী ছ’দল বাদ দিয়ে অন্য কোনও দলেরও সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপ জেতার। তা হলে নতুন কোনও দেশ বিশ্বকাপ জয়ের তালিকায় নাম লেখাবে। এই বছর বিশ্বকাপজয়ী ছ’দেশ ছাড়াও নিউ জ়িল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান খেলবে। সেই সঙ্গে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, নেপাল, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি এবং উগান্ডা।
আইসিসি-র সব বিশ্বকাপ একই মরসুমে
অস্ট্রেলিয়ার কাছে সুযোগ রয়েছে এক অনন্য রেকর্ড গড়ার। তারা এই মুহূর্তে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী দল। এই বছর যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া, তা হলে সব ধরনের ক্রিকেটে আইসিসি-র প্রতিযোগিতায় জয়ী হবে তারা। এমন রেকর্ড এর আগে কোনও দল গড়তে পারেনি।