শতরানের পর শ্রেয়স আয়ার। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপে প্রথম বার শতরান করলেন শ্রেয়স আয়ার। ৮৪ বলে শতরান করলেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের শতরান আনন্দ এনে দিল কলকাতাতেও। শ্রেয়স কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। তিনি শতরান করায় কেকেআর খুশি।
এ বারের আইপিএলে চোটের কারণে একটি ম্যাচেও খেলতে পারেননি শ্রেয়স। সেই চোট সারিয়ে বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। কিন্তু সে ভাবে রান পাচ্ছিলেন না বিশ্বকাপের শুরুতে। শ্রেয়সের রান পাওয়া দেখে খুশি কেকেআরের সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার। তিনি বলেন, “চোট সারিয়ে ফেরার পথটা খুব কঠিন ছিল শ্রেয়সের জন্য। ওর পিঠ খুব ভুগিয়েছে ওকে। আইপিএল খেলতে পারেনি। কিন্তু এ বার ওকে ফর্মে ফিরতে দেখে ভাল লাগছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে শ্রেয়সকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। চার নম্বর জায়গার জন্য ও যোগ্য কি না সেটা নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। তবে রোহিত শর্মা ওর পাশে ছিল।”
রবিবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শ্রেয়স যখন ব্যাট করতে নামেন, ভারতের তখন স্কোর ১২৯/২। বিরাটের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি। বিরাট আউট হতে তাঁকে সঙ্গ দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু এ দিন ভারতের হয়ে আসল কাজটা করে যান শ্রেয়স। নায়ার বলেন, বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের আগে শতরান করেছিল শ্রেয়স। সেটাই ওর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। বিশ্বকাপে শুরুতে রান না পেতেই আবার শ্রেয়সের শর্ট বল খেলতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই সব কিছুর উত্তর দিয়ে দিল। এটাই শ্রেয়স। ও পারে এই ইনিংসগুলো খেলতে।”
শ্রেয়স রান পাওয়ায় ভারতের মিডল অর্ডারকে অনেক শক্তিশালী দেখাচ্ছে। নায়ার বলেন, “শ্রেয়স রান পাওয়ায় ভারতীয় দল বদলে গিয়েছে। এখন সকলে বুঝতে পারছে কেন শ্রেয়সকে চার নম্বরে দরকার। বাউন্স হোক বা স্পিন সব ধরনের পিচেই রান করেছে ও। শ্রেয়স নিজের মতো ব্যাট করে গিয়েছে। ছক্কা হাকিয়েছে, চার মেরেছে। দলের হয়ে রান করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।”
শ্রেয়স রবিবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৯৪ বলে ১২৮ রান করেন। অপরাজিত থেকে যান তিনি এবং লোকেশ রাহুল। দু’জনে মিলে ২০৮ রানের ইনিংস গড়েন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪০০ রান পার করে ভারত।