India vs South Africa

বল লেগে ফুলল কপাল, আঘাত পেলেন হাতেও, তাই নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াই শার্দূলের

তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে যেতে হত। সেটাই করলেন শার্দূল ঠাকুর। বার বার আঘাত পেলেও মাঠ ছেড়ে উঠে যাননি তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫১
Share:

শার্দূল ঠাকুরের হেলমেটে বল লাগার সেই মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই

ঠিক যেন বাঘের বাচ্চা। সেঞ্চুরিয়নের অসমান বাউন্সের পিচে বল গিয়ে সজোরে লাগল হেলমেটে। কিছু ক্ষণ পরেই আবার একটি বল কনুইয়ে আঘাত করল। বার বার আঘাত পেয়েও মাঠ ছাড়লেন না শার্দূল ঠাকুর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াই করলেন তিনি।

Advertisement

তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে যেতে হত। সেটাই করলেন শার্দূল। পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় গেলেন। যে পিচে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সমস্যায় পড়েছেন সেই পিচে শার্দূলকে একের পর এক চার মারতে দেখে অবাক হয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা। তখন শার্দূলের শরীর লক্ষ্য করে বল করা শুরু করেন তাঁরা। আর তাতেই আঘাত লাগে শার্দূলের।

৪৪তম ওভারে জেরাল্ড কোয়েৎজ়ির বল শার্দূলের হেলমেটে লাগে। ছুটে আসেন ফিজিয়ো। হেলমেট খুললে দেখা যায়, কপালের সামনের দিক ফুলে গিয়েছে। আইসপ্যাক লাগিয়ে রাখতে হয় কিছু ক্ষণ। তার পরে আবার ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। কিছু ক্ষণ পরে কাগিসো রাবাডার বল তাঁর ডান হাতের কনুইয়ে গিয়ে লাগে। সে ক্ষেত্রেও ব্যথা পান তিনি। ফিজিয়ো এসে তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন। তার পরেও লড়াই ছাড়েননি তিনি।

Advertisement

মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আয়ার আউট হয়ে গেলে ভারতের ইনিংসকে সামলানোর দায়িত্ব পড়ে রাহুল ও শার্দূলের উপর। রাহুল সাবলীল ব্যাট করছিলেন। মারার বল মারছিলেন। ছাড়ার বল ছাড়ছিলেন। শার্দূলও ইতিবাচক ব্যাট করছিলেন। বেশ কয়েকটি চার মেরে রাহুলের উপর থেকে চাপ কমান তিনি। তার মাঝেই এক বার হেলমেটে ও এক বার হাতে বল লাগে তাঁর। ফলে মনোযোগ কিছুটা নষ্ট হয়। তারই খেসারত দিতে হয় তাঁকে। ২৪ রান করে রাবাডার পঞ্চম শিকার হন তিনি।

চা বিরতির পরে যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে রান করার চেষ্টা করেন রাহুল। হাতে উইকেট কম থাকায় একটি আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায় তাঁকে। বার্গারকে পর পর দু’বলে চার ও ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। বুমরাও আউট হয়ে যান। রাহুল জানতেন যা রান করার তাঁকেই করতে হবে। ওভারের প্রায় সব ক’টি বল খেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মহম্মদ সিরাজকে যতটা সম্ভব ঢাকার চেষ্টা করছিলেন।

৫৯ ওভারের পরে বৃষ্টি নামে। আকাশ কালো হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বৃষ্টি থামলেও খেলা শুরু করা যেত না। সেই কারণে আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নেন যে প্রথম দিন আর খেলা হবে না। দিনের শেষ ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement