হরমনপ্রীত কৌর। ছবি: এক্স (টুইটার)।
মহিলাদের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে নিদা দারের দল ১৯.২ ওভারে করে ১০৮ রান। জবাবে হরমনপ্রীত কৌরেরা ১৪.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলল ১০৯ রান। শেষ দিকে অকারণ তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একাধিক উইকেট হারালেন ভারতীয়রা।
বাবর আজ়মদের মতোই ভারতের সামনেই অসহায় দেখাল নিদাদের। অনুশীলন ম্যাচ খেলার মেজাজে সহজ জয় তুলে নিল ভারত। জয়ের জন্য ১০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ভারতীয় দল। স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি বর্মার প্রথম উইকেটের জুটিতে ৯.৩ ওভারে ওঠে ৮৫ রান। তাতেই ভারতীয় দলের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। স্মৃতি ৩১ বলে ৪৫ রান করলেন। ৯টি চার এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। শেফালি করলেন ২৯ বলে ৪০। মারলেন ৬টি চার এবং ১টি ছক্কা। তিন নম্বরে নেমে দয়ালান হেমলতা খেললেন ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩টি চার। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন হরমনপ্রীত এবং জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ভারতীয় দলের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ১১ বলে ৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। জেমাইমা অপরাজিত থাকলেন ৩ বলে ৩ রান করে।
পাকিস্তানের সফলতম বোলার সৈয়দা আরুব শাহ ৯ রানে ২ উইকেট নিলেন। শেফালি এবং মন্ধানা— দু’জনকেই আউট করলেন তিনি। নাশরা সান্ধু ১ উইকেট নিলেন ১৯ রান দিয়ে। পাকিস্তানের আর কোনও বোলার উইকেট পাননি।
এর আগে টস জিতে ডাম্বুলার ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাঁর সেই রণকৌশল সফল হল না ভারতীয় বোলারদের দাপটে। দীপ্তি শর্মা, রেণুকা সিংহ, পূজা বস্ত্রকারদের বল বুঝতেই পারলেন না পাক ব্যাটারেরা। পাকিস্তানের দুই ওপেনার গুল ফেরোজ়া (৫) এবং মুনিবা আলি (১১) রান হলেন না। কিছুটা লড়াই করলেন তিন নম্বরে নামা সিদরা আমিন, টুবা হাসান এবং ফতিমা সানা। আমিন খেললেন ৩৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস। মারলেন ৩টি চার। টুবা করলেন ১৯ বলে ২২। তিনিও ৩টি চার মারেন। ফতিমা অপরাজিত থাকলেন ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে। ১টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারলেন না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারালেন তাঁরা। তৈরি হল না কোনও উল্লেখযোগ্য জুটিও।
ভারতের সফলতম বোলার দীপ্তি ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৪ রানে ২ উইকেট রেণুকার। ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। পূজার ২ উইকেট ৩১ রানের বিনিময়। প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে খুশি হরমনপ্রীত। ভারতীয় দলের অধিনায়ক জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য গোটা প্রতিযোগিতায় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা।