আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেরিকা পর্বে বাজেটের থেকে অনেক বেশি খরচ হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)। তার জন্য ক্ষতিও হয়েছে বিস্তর। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাতে তেমন কিছু না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন আইসিসি কর্তারা। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজেট নিয়ে সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে আলোচনা করবেন তাঁরা।
বাজেটের থেকে অনেক বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেরিকা পর্বে। তাই আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক আইসিসি। কলম্বোয় সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজেট অনুমোদন হওয়ার কথা। আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। আইসিসির প্রধান অর্থনৈতিক আধিকারিক অঙ্কুর খন্না বলেছেন, ‘‘জুন মাসে আইসিসি কর্তারা তিন দিনের সফরে লাহোরে গিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের খরচ কেমন হতে পারে তা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মুখ্য অর্থনৈতিক আধিকারিক জাভেদ মুর্তাজার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আটটি দল খেলবে। সেই মতো হিসাব করা হয়েছে।’’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ আইসিসির অর্থ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাজেট আইসিসির বোর্ডে পাঠানোর আগে জয়ের কমিটিকে তা অনুমোদন করতে হবে।
পাকিস্তানের লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলি হওয়ার কথা। কেন্দ্রগুলি আগেই প্রতিটি ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাব্য খরচ জানিয়েছে পিসিবিকে। পাক বোর্ড সেই তথ্য দিয়েছেন আইসিসি কর্তাদের। ভারতীয় দল প্রতিযোগিতা খেলতে পাকিস্তানে এক রকম খরচ হবে। আবার ভারতীয় দলের ম্যাচগুলি অন্য দেশে আয়োজন করতে হলে খরচ বৃদ্ধি পাবে। গত বছর এশিয়া কাপ খেলতে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। এর ফলে প্রতিযোগিতার অর্ধেকের বেশি ম্যাচ হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।