চহালকে নিয়ে উচ্ছ্বাস রোহিত, কোহলীদের। ছবি পিটিআই
রোহিত শর্মা ফিরতেই ঝলমলে ভারত। মাঠের মধ্যে সেই আগ্রাসন, কৌশলী চাল দেখা গেল বারবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম এক দিনের ম্যাচে অনায়াসে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। বলে যুজবেন্দ্র চহাল নায়ক হলে, ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা রোহিত। ঐতিহাসিক হাজারতম ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখল তারা।
কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার পরে এসেছে ভারতে। তবে ভারত আসতেই তাঁদের পুরনো রোগ বেরিয়ে পড়ল। স্পিনের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণ দেখা গেল বার বার।
টসে জিতে ভারতের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম থেকেই ফল দিতে শুরু করে। ওপেনার শাই হোপকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। এর পরে একই ওভারে ব্র্যান্ডন কিং এবং ডারেন ব্রাভোকে ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর। ২০ ওভারের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচ উইকেট পড়ে যায়। ওয়াশিংটনের মতোই একই ওভারে জোড়া শিকার যুজবেন্দ্র চহালের। ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে নিকোলাস পুরান এবং কায়রন পোলার্ডকে। এর কয়েক ওভার পরেই অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে যান শারমা ব্রুকস এবং আকিল হোসেন। ৭৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই সময়ে ঘুরে দাঁড়ান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বহু যুদ্ধের সেনানী জেসন হোল্ডার। সঙ্গী ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ভারতীয় বোলারদের ওপর রীতিমতো চাপ তৈরি করেছিলেন হোল্ডার। একটিও চার মারেননি। কিন্তু চারটি ছয় মেরেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চহালকে মারা একটি বিশাল ছক্কা। ৩৮তম ওভারে সেই জুটি ভাঙে। এরপর আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস বেশিক্ষণ টেকেনি। ১৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
ভারতের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। কে এল রাহুল এবং শিখর ধবন না থাকায় ঈশান কিশন যে তাঁর সঙ্গে ওপেন করবেন, এটা শনিবারই জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সেইমতো ভারত অধিনায়কের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার। প্রথম উইকেটে ৮৪ উঠে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে রাহুলের নেতৃত্বে যে ফাঁকফোকর ছিল, সেটা রোহিতের অধীনে একেবারেই দেখা গেল না। রোহিত ফিরতেই আবার ঝলমলে ভারত। দশটি চার এবং একটি ছক্কা সাহায্যে ৫১ বলে ৬০ রান করে ফেরেন রোহিত।
অবাক করলেন অবশ্য বিরাট কোহলী। মনে করা হয়েছিল এই পিচে তাঁর রান পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। প্রথম দু’টি বলে চার মেরে শুরুটা তেমনই করেছিলেন। কিন্তু আলজারি জোসেফের লাফিয়ে ওঠা বলে পুল করতে গিয়ে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়লেন। ঈশান কিশান এবং ঋষভ পন্থ ১৮ ওভারের মধ্যে ফিরে যাওয়ার ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু সূর্যকুমার এবং দীপক হুডা ভারতকে জিতিয়ে দিলেন। প্রথম সুযোগেই হুডা যেন সমস্ত উপেক্ষার জবাব দিলেন। সেই মুহূর্তে ভারত চাপে ছিল। কিন্তু হুডা এবং সূর্যকুমারের জুটি ভারতকে ২২ ওভার বাকি থাকতেই জয় এনে দিল।