বিশ্বকাপ হাতে ধোনি। ফাইল ছবি
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিশ্বকাপজয়ী দলের মনোবিদ ছিলেন তিনি। খুব কাছ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটকে দেখেছেন। প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে মিশেছেন সমান ভাবে। সেই দেখেই বিশ্বকাপের ১০ মাস আগে প্যাডি আপটনের মনে হয়েছিল, এই ভারতের ট্রফি জেতার মতো ক্ষমতা নেই। তার পরেও যে ট্রফি এসেছিল, সেটা বিরাট কৃতিত্ব বলে মনে করেন আপটন।
এক ইউটিউব শোয়ে আপটন সেই সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, “২০১১ বিশ্বকাপের ১০ মাস আগে এশিয়া কাপ ফাইনাল ছিল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গ্যারি কার্স্টেন তখন হঠাৎই জিজ্ঞাসা করল, এটা যদি বিশ্বকাপ ফাইনাল হত তা হলে কি আমরা জিততে পারতাম? গ্যারি, আমি এবং এরিক সিমন্স (বোলিং পরামর্শদাতা) কিছু ক্ষণ ভেবে বুঝতে পেরেছিলাম, সম্ভব নয়।”
কেন এমন মনে হয়েছিল? আপটনের ব্যাখ্যা, “দেশের মানুষের সামনে খেলা, বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনাল, সচিন তেন্ডুলকরের শেষ ম্যাচ— এই ধরনের চাপ এই দলের কোনও ক্রিকেটারের নেওয়ার ক্ষমতা তখন ছিল না। তাই কোনও ক্রিকেটারের পক্ষে সর্বোচ্চ যতটা চাপ নেওয়া সম্ভব, ততটা চাপের মধ্যে খেলার জন্য ওদের প্রস্তুত করেছিলাম।”
আপটন জানিয়েছেন, দলের প্রতিটি বৈঠকের আলোচনা বিশ্বকাপ ফাইনাল দিয়ে শুরু হত, যাতে ক্রিকেটাররা মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে পারেন। বলেছেন, “প্রতিটি টিম শুরু হওয়ার সময় ‘যখন আমরা মুম্বইয়ে ফাইনাল খেলব’ বা ‘যখন আমরা ২ এপ্রিল ফাইনাল খেলতে নামব’— এই ধরনের কথা দিয়ে শুরু হত। ক্রিকেটারদের মাথার মধ্যে ফাইনাল খেলার ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সে কারণেই ফাইনালের আগে আমাদের চাপ সবচেয়ে কম ছিল। বড় ধরনের ম্যাচের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির চাপে না পড়লে অর্ধেক যুদ্ধ ওখানেই জেতা হয়ে যায়।”