জনি বেয়ারস্টো। ছবি রয়টার্স
‘চোট’ পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। ম্যাচের আগে তিনি ‘চোট’ নিয়ে যাবতীয় সংশয় উড়িয়ে দেন। সেই জনি বেয়ারস্টো প্রথম ম্যাচে খেললেনই না, দুর্দান্ত ইনিংসে দলকে ম্যাচ জিতিয়েও দিলেন। ইংল্যান্ড ৪১ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, ব্রিস্টলের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। নিজে ৭ বলে ২২ রান করে সেটা প্রমাণও করেন। তবে আসল দাপট দেখা যায় মইন আলি এবং বেয়ারস্টোর ব্যাটে। প্রোটিয়া বোলারদের দুরমুশ করে ১৬ বলে অর্ধশতরান করেন মইন। দ্রুততম ইংরেজ ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতরান করেন। ভাঙেন লিয়াম লিভিংস্টোনের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৫২ করে আউট হন মইন।
বেয়ারস্টোর থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৯০ করেন তিনি। মেরেছেন আটটি ছয় এবং তিনটি চার। নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন বেয়ারস্টো। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও তাঁকে দুর্দান্ত ছন্দে দেখতে পাওয়া গেল। বুধবার ইংল্যান্ড ছয় উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে। প্রোটিয়াদের হয়ে লুনগি এনগিডি পাঁচ উইকেট নেন।
জবাবে সাত রানের মধ্যেই দু’টি উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকেও যে তারা ১৯৩ রানে পৌঁছয়, তার পিছনে রয়েছেন ট্রিস্টান স্টাবস। ২৮ বলে ৭২ রান করেন তিনি। মেরেছেন দু’টি চার এবং আটটি ছয়। রিচার্ড গ্লিসনের বলে তিনি ফিরতেই দক্ষিণ আফ্রিকার আশা শেষ হয়ে যায়।