আগুনে গতিতে বল করলেন উমরান মালিক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলার হিসাবে সব থেকে জোরে বল করার নজির গড়লেন তিনি। ছবি: বিসিসিআই
নিজের নামের প্রতি সুবিচার করছেন উমরান মালিক। গতির জন্যই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। নিজের গতি দিন দিন আরও বাড়াচ্ছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে। সেই বলে উইকেটও নিয়েছেন। ভারতীয় বোলার হিসাবে নজির গড়েছেন উমরান।
ওয়াংখেড়েতে উমরান প্রথম বলটিই করেন ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার গতিতে। প্রথম ওভারে ছ’টি বলই ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে করেন তিনি। গতি বাড়তেই থাকে। নিজের শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকাকে আউট করেন উমরান। সেই বলটি তিনি করেছিলেন ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এটি রেকর্ড। এত দিন রেকর্ড ছিল যশপ্রীত বুমরার নামে। ঘণ্টায় ১৫৩.৩৬ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেছিলেন তিনি। সেটাই ভাঙলেন উমরান।
এ বার উমরানের নজর পড়শি দেশ পাকিস্তানের দিকে। নতুন বছরে নতুন লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙতে চান উমরান। ক্রিকেটে দ্রুততম বলের রেকর্ড এখনও পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আখতারের দখলে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শোয়েবের একটি বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার। যা এখনও পর্যন্ত দ্রুততম বল হিসাবে চিহ্নিত। শোয়েবের এই রেকর্ড নিজের দখলে আনাই লক্ষ্য উমরানের। জম্মু-কাশ্মীরের জোরে বোলারের বিশ্বাস, শোয়েবের দ্রুততম বলের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই তার ট্রেলার দেখা গেল।
একটি সাক্ষাৎকারে ২৪ বছরের জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘যদি ভাল বল করতে পারি, যদি ভাগ্যের সহায়তা পাই, তা হলে শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভেঙে দেব। তবে এই রেকর্ড নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। আমার লক্ষ্য একটাই। শুধু দেশের হয়ে ভাল খেলতে চাই।’’ গতির থেকেও এখন সঠিক জায়গায় বল রাখার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। উমরান বলেছেন, ‘‘ম্যাচের সময় কত জোরে বল করছি সেটা বোঝা যায় না। খেলার পর সাজঘরে ফিরে আসার পর জানতে পারি কত জোরে বল করেছি। মাঠে আমার লক্ষ্য থাকে সঠিক জায়গায় বল ফেলে উইকেট তুলে নেওয়া।’’