শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলির জুটিতেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় রান তুলল ভারত। ছবি: টুইটার
তিরুঅনন্তপুরমের মাঠে জোড়া শতরান। শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলি শতরান করলেন রবিবার। তাঁদের দাপটে এক দিনের সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে ৩৯০ রান তুলল ভারত। শেষ ম্যাচে জিততে হলে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৩৯১ রান। যদিও সিরিজ় ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে ভারত।
রবিবার তিরুঅনন্তপুরমের পিচ দেখে রোহিত শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন যে বড় রান উঠবে। তাই টস জিতে ব্যাটিং নিতে দ্বিধা করেননি তিনি। টস জিতে রোহিত বলেন, “আমরা প্রথমে ব্যাট করব। খুব ভাল পিচ। সেটার সুবিধা নিতে হবে।” সেই সুবিধাটাই নিলেন শুভমন এবং বিরাট। ৯৭ বলে শতরান করেন শুভমন। বিরাট ১৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন তাঁরা। পুরো ইনিংসে ১৪টি ছক্কা মেরেছে ভারত। এর মধ্যে ৮টি ছক্কাই মারেন বিরাট। ১১০ বলে ১৬৬ রান করেন তিনি।
ভারত শুরু থেকেই বড় রানের লক্ষ্য নিয়েছিল। রোহিত এবং শুভমন শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলছিলেন। কিন্তু পুল মারতে গিয়ে ৪২ রান করে আউট হন রোহিত। নিজের প্রিয় শট খেলতে গিয়েই উইকেট দিলেন তিনি। শেষ ৫০টি ইনিংসে শতরান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। বিরাট রানে ফিরলেও ভারতের অধিনায়কের থেকেও বড় চাইছেন সমর্থকরা। শুভমন শতরান করায় ওপেনিং নিয়ে আপাতত চিন্তা কমল ভারতের।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক দিনের ম্যাচে দ্বিশতরান করার পর ঈশান কিশানকে বাদ দেওয়া হয়। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল যে, কেন শুভমনকে খেলানো হচ্ছে কিশনকে বাদ দিয়ে। গুয়াহাটিতে ৭০ রান করে শুভমন বুঝিয়ে দেন যে তিনিও রানের মধ্যে রয়েছেন। ইডেনে যদিও মাত্র ২১ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। রবিবার শতরান করেন মাঠ ছাড়লেন শুভমন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল দু’টি ছক্কা এবং ১৪টি চার দিয়ে।
নতুন বছরে দ্বিতীয় শতরান এল বিরাটের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে দু’টি শতরান করে ফেললেন তিনি। শুধু তাই নয় ১৬৬ রানের লম্বা ইনিংস খেললেন বিরাট। ১১০ বলে তাঁর এই ইনিংসে ছিল ১৩টি চার এবং ৮টি ছক্কা। অনায়াসে মাঠের বাইরে বল পাঠাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর মারা একটি বাউন্ডারি আটকাতে গিয়ে চোট পান শ্রীলঙ্কার অশেন বান্দারা এবং জেফ্রি ভ্যান্ডারসে। দুই ক্রিকেটারই শুয়ে পড়ে বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কেউই সেটা পারেননি। বল বাউন্ডারি হয়ে যায়। কিন্তু দুই ক্রিকেটার সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। মাঠে শুয়ে পড়ে কাতরাতে থাকেন। পরে ভ্যান্ডারসেকে হাতে ধরা স্ট্রেচারে করে বের করা হলেও, বান্দারা বের করে আনা হয় চাকা লাগানো চেয়ারে।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের কাউকেই রেয়াত করেননি ভারতের ব্যাটাররা। ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ ১০ ওভারে ৫৪ রান দেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন কাসুন রজিতা এবং লাহিরু কুমারা। একটি উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে। মাঠ ছাড়ার আগে ভ্যান্ডারসে ৭ ওভারে ৫৯ রান দেন। দাসুন শনাকা ৩ ওভারে ১৯ রান দেন। নুয়ানিন্দু ফেরান্দো ২ ওভারে দেন ২২ রান।