শিবম মাভি। ছবি: পিটিআই।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার পরে ছ’বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ভারতের সিনিয়র দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না শিবম মাভি। টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেকের দিন চার ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন তরুণ পেসার। যদিও ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় দীপক হুডাকে। তাঁর ২৩ বলে ৪১ রানের ইনিংসের জন্য। কিন্তু ভারতীয় বোলিংকে মাভি নেতৃত্ব না দিলে এই জয় সহজে আসত না। ম্যাচ শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন তারকা জানিয়েছেন, ছ’বছর লাগল তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ করতে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাভি বলেছেন, ‘‘পা ফেলার জায়গাটা খুবই পিচ্ছিল ছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরে এই প্রথম ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি। ছ’টা বছর লেগে গেল এই জায়গায় পৌঁছতে। এক সময় মনে হয়েছিল আমার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আইপিএল খেলার সুবাদে চাপটা অনেক কম ছিল। আমি জানি পাওয়ারপ্লেতে আক্রমণ করলে বিপক্ষ চাপে পড়বেই। সেটাই কিন্তু ম্যাচে হয়েছে।’’
মাভির কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন উইকেটটা সব চেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে তাঁকে। তিনি বললেন, ‘‘প্রথম উইকেটটা সত্যি আমার মনের মতো। ইনসুইং করিয়েছি। ব্যাট ও পায়ের ফাঁক দিয়ে বল স্টাম্পে আছড়ে পড়েছে। সেটা অবশ্যই মনে থাকবে। ভারতীয় জার্সিতে এ ভাবে শুরু করব। তা মোটেও ভাবিনি।’’
ভারতীয় অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য প্রথম ম্যাচ জিতে খুশি। তাঁর পায়ে সামান্য চোট লাগলেও হার্দিক জানিয়েছেন, সেই চোট গুরুতর নয়। তাঁর কথায়, ‘‘জানি সমর্থকদের মাঝে মধ্যেই ভয় পাইয়ে দিই। শেষ রাতে আমার ঠিক মতো ঘুম হয়নি। ঠিক মতো জলও খাইনি। তাই পায়ের পেশিতে টান ধরে গিয়েছিল।’’
শেষ ওভারে অক্ষরকে কেন বল দেওয়া হল? সেই প্রশ্নের উত্তরে হার্দিক বললেন, ‘‘এই দলটাকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলতে চেয়েছি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে যদি কঠিন জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারি, বড় প্রতিযোগিতায় কী করে পারব?’’ যোগ করেছেন, ‘‘তাই টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিই। তবে এটাও ঠিক, তরুণরাই এই ম্যাচটা বার করেছে। ওরাই কঠিন জায়গা থেকে দলকে বার করে এনেছে। এটা আমার কাছে আনন্দের।’’