নেটে দারুণ বোলিং সিরাজদের। ফাইল ছবি
যশপ্রীত বুমরাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে কি না, তা এখনও কেউ জানেন না। বুমরা ছিটকে গিয়েছেন, এ কথা সংবাদ সংস্থা জানিয়ে দিলেও, বোর্ডের কেউ এখনও স্বীকার করেননি। তবে বুমরার বিকল্প যে তৈরি রাখা হচ্ছে, এটা গুয়াহাটিতে ভারতীয় দলের অনুশীলন দেখেই বোঝা গিয়েছে।
রবিবার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। তার আগে শুক্রবার গুয়াহাটি পৌঁছল তারা। বিকেলে ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। সেখানেই নেটে আগুন ঝরালেন উমেশ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজ। বুমরার বদলে দলে এসেছেন সিরাজ। প্রথম দিনই মাতিয়ে দিলেন তিনি। উমেশ এবং সিরাজের জোড়া ফলার সামনে বেসামাল হয়ে গেলেন দুই উইকেটকিপার ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিক।
দুই বোলারই কাউন্টিতে দারুণ খেলেছেন। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে সিরাজ এবং মিডলসেক্সের হয়ে উমেশ ভাল বল করেন। গুয়াহাটিতে এখন প্রচণ্ড গরম। অনুশীলনে তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিলেন দুই পেসার। বুধবারের ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা কেউই এ দিন অনুশীলন করেননি। উমেশও প্রথম ম্যাচে খেলেননি।
এ দিন উমেশ একের পর এক শর্ট বল করলেন পন্থকে। ঠেকাতেই পারছিলেন না ভারতীয় দলের উইকেটকিপার। বিভিন্ন শট খেলে উমেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও বিদর্ভের পেসারকে দমানো যায়নি। হতাশ পন্থ এক সময় বলেই দেন, “আর কত শর্ট বল করবে? এ বার তো থামো।” শুনে হাসতে থাকেন উমেশ।
এর পর নামেন কার্তিক। তারও অবস্থা হয় একই রকম। শ্রেয়স আয়ারকেও ছাড়েননি উমেশ। পরে বোলিং করতে এসে সিরাজও একের পর এক শর্ট বল করতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পিচের কথা মাথায় রেখে ইচ্ছে করে বাউন্সার দেওয়া হচ্ছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে এটা যে প্রস্তুতিরই অঙ্গ, তা বোঝা গিয়েছে।