বুমরার চোট কতটা গুরুতর? ফাইল ছবি
চোট পেয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। স্ট্রেস ইঞ্জুরি হয়েছে তাঁর। কত দিন তিনি মাঠের বাইরে থাকবেন কেউই বলতে পারছেন না। কেউ বলছেন ছ’মাস, কেউ বলছেন চার মাস। অনেকে আবার এ-ও বলেছেন, স্ট্রেস ইঞ্জুরি তাঁর ক্রিকেটজীবন শেষ করে দিতে পারে? সত্যিই কি সে রকম সম্ভাবনা রয়েছে? উত্তর দিয়েছেন আইসিসি-র চিকিৎসক দলের সদস্য দীনেশ পারদিওয়ালা।
তাঁর মতে, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হঠাৎ করে হয় না। বার বার ছোটখাটো চোট পেতে পেতে এটি তৈরি হয়। তিনি বলেছেন, “পিঠের নীচের দিকে যে কোনও জোরে বোলারের স্ট্রেস ফ্র্যাকচার তৈরি হতে পারে। সাধারণত বোলার যে হাতে বল করেন, তাঁর উল্টো দিকে এই ফ্র্যাকচার হয়। তবে এই চোটের কারণে ক্রিকেটজীবন শেষ হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, বিশ্রাম এবং সঠিক পরিচর্যা পেলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসা যায়।”
চিকিৎসক পারদিওয়ালা আরও বলেছেন, “স্ট্রেস রিয়্যাকশন তাড়াতাড়ি সেরে গেলেও স্ট্রেস ফ্র্যাকচার সারতে সময় লাগে। খুবই দেরি হয়। অপেক্ষা করা ছাড়া এ ক্ষেত্রে আর কোনও উপায় নেই। সঠিক বিশ্রাম এ ধরনের চোটের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।”
ওষুধ খেয়ে যে চোট সারে, এমনটা নয় বলেই জানিয়েছেন পারদিওয়ালা। তাঁর কথায়, “শক্তিশালী ব্যথার ওষুধ খেলাম আর মাঠে নেমে পড়লাম, এটা মোটেই নয়। প্রথমত, আপনি মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না। তার থেকেও বড় ব্যাপার, চোট মারাত্মক জায়গায় যেতে পারে।”