হার দিয়ে শুরু হল এক দিনের সিরিজ়। —ফাইল চিত্র
সঞ্জু স্যামসনের লড়াই কাজে এল না। শুরুর দিকে মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে ভুগতে হল ভারতকে। এক দিনের সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচ হেরেই শেষ করল ভারত। ৯ রানে হারতে হল শিখর ধাওয়ানদের।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক এবং জানেমন মালান ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ভারতকে প্রথম উইকেট এনে দেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁর বলে আউট হন জানেমন। ২২ করে শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ক্রিজে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি টেম্বা বাভুমাও। তিনি ফেরেন মাত্র আট রান করে। শার্দূলের বলে বোল্ড হন তিনি। এডেন মার্করামকে ফেরান কুলদীপ যাদব। কোনও রান না করেই আউট হন মার্করাম। কুলদীপের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। ৪৮ করে আউট হন ডি’কক। তাঁর উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে উইকেট পান তিনি।
১১০ রানে চার উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল যখন বেকায়দায়, সেই সময় দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। ১৩৯ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ভারতের বোলারদের সব দাপট শেষ হয়ে যায় তাঁদের সামনে। ক্লাসেন অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে। মিলার অপরাজিত ৭৫ রানে। দু’জনে মিলে পাঁচটি ছক্কা এবং ১১টি চার মারেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৫৪ রান তোলেন তাঁরা। ডেথ ওভারে ভারতের বোলিং দুর্দশা চলছেই।
বৃষ্টির জন্য ৪০ ওভারের ম্যাচ হয় বৃহস্পতিবার। মহম্মদ সিরাজ আট ওভারে ৪৯ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। আবেশ খান আট ওভারে দেন ৫১ রান। তিনিও কোনও উইকেট পাননি। শার্দূল ঠাকুর নেন দু’টি উইকেট। তিনি আট ওভারে দেন ৩৫ রান। রবি বিষ্ণোই একটি উইকেট নিলেও আট ওভারে দেন ৬৯ রান। কুলদীপ যাদব আট ওভারে একটি উইকেট নিয়ে দেন ৩৯ রান।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র আট রানের মাথায় দুই ওপেনারকেই হারায় ভারত। শুভমন গিলকে বোল্ড করেন কাগিসো রাবাডা। মাত্র তিন রান করে ফেরেন শুভমন। ধাওয়ান করেন চার রান। তিনি বোল্ড হন ওয়েন পার্নেলের বলে। ক্রিজে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। ৪২ বলে ১৯ রান করে আউট হন তিনি। তাবরেজ শামসির বলে স্টাম্প হন রুতুরাজ। ২০ রান করে আউট হন ঈশান কিশনও। কেশব মহারাজের বলে মালানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫১ রানে চার উইকেট হারায় ভারত। সেই অবস্থা থেকে দলকে বার করার চেষ্টা করছিলেন শ্রেয়স আয়ার। দ্রুত রান তোলার দিকে মন দিয়েছিলেন তিনি। ৩৭ বলে ৫০ রান করেন শ্রেয়স। আটটি চার মারেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারলেন না। লুঙ্গি এনগিডির বলে রাবাডার হাতে ক্যাচ দেন শ্রেয়স।
শেষ বেলায় ঝড় তোলেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু অন্য দিকের ব্যাটাররা একের পর এক আউট হতে থাকেন। এনগিডি এক ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন ভারতকে। ননস্ট্রাইকারের দিকে তখন দাঁড়িয়ে সঞ্জু। উল্টো দিকের ব্যাটাররা আসছেন এবং ফিরে যাচ্ছেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। বল করতে আসেন শামসি। সেই ওভারে একটি ছয় এবং তিনটি চার মারেন সঞ্জু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেননি। ৯ রানে হেরে যায় ভারত।
৬৩ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। তিনটি ছক্কা এবং ন’টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু শুরু থেকেই মন্থর গতিতে খেলায় ম্যাচ জেতাতে পারলেন না।