BCCI

India vs South Africa 2022: দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুমড়ে দিয়ে সিরিজ ২-২ ভারতের, রবিতে ‘ফাইনাল’ বেঙ্গালুরুতে

রাজকোটে মরণ-বাঁচন ম্যাচে জিতে গেল ঋষভ পন্থের ভারত। রবিবার বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচে হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফয়সালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ২২:২৩
Share:

উচ্ছ্বাস ভারতের। ছবি পিটিআই

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে হারায় বাকি তিনটি ম্যাচ ভারতের কাছে ছিল মরণ-বাঁচন। তিনটির মধ্যে দু’টিতে জিতে আপাতত সিরিজে টিকে ভারত। শুক্রবার রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮২ রানে দুমড়ে দিয়ে সিরিজে লড়াই জারি রাখল ভারত। রবিবার শেষ ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই হবে সিরিজ ফয়সালা। অধিনায়ককে হিসাবে ঋষভ পন্থ প্রথম সিরিজেই জিততে পারেন কি না, সে দিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা দেশ।

Advertisement

এ দিনের জয় অবশ্য সহজে আসেনি। টানা চার বার টসে হারলেন পন্থ। ভারতকে আবারও প্রথমে ব্যাট করতে হল। তবে প্রথমে ব্যাট করেও যে জেতা যায় সেটা দেখিয়ে দিল তারা। এই জয়ের পিছনে মূল কারিগর যদি কেউ থাকেন, তা হলে নিঃসন্দেহে দীনেশ কার্তিক। যোগ্য সঙ্গত দিলেন হার্দিক পাণ্ড্যও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না, জানা নেই। তবে শুক্রবার কার্তিক যে ইনিংসটা খেললেন, তাতে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তিনি না উঠলেই অবাক হতে হবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হোক বা জাতীয় দল, কার্তিক ক্রমশ ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হয়ে উঠছেন। প্রথমে ব্যাট করে দল বিপদে পড়েছে? তিনি নেমে মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিলেন। দল রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়েছে? কার্তিক আবার মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিলেন।

Advertisement

এ দিন তাঁকে প্রথম ভূমিকায় দেখা গেল। ভারতের অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। পন্থ ওই রকম স্কুলছাত্রের মতো শট খেলে আউট হওয়ার পর হার্দিকের সঙ্গে কাউকে জুটি বাধতেই হত। সেই কাজটা কার্তিকই করলেন। ক্রিজে এসেই দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের শাসন করে চাপে রাখতে শুরু করলেন। সতীর্থকে দেখে হাত খুললেন হার্দিকও। দু’জনের জুটিতে ৬৫ রান। ওই সময়ে এই জুটি ত্রাতা না হলে ভারতের রান দেড়শো পেরোত কি না সন্দেহ। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে সপাটে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করে কার্তিক আউট হলেন বটে। তবে দল ততক্ষণে ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।

ভারত বিপদে পড়েছিল শুরু থেকেই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫) দলের ১৩ রানের মাথায় ফিরে যান। শ্রেয়স আয়ারও (৪) টিকতে পারেননি। পন্থ এসে কিছুটা সামাল দিয়েছিলেন হার্দিকের সঙ্গে। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে আউট হওয়া কে আটকাবে? রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কোচকে সামনে পেয়েও পন্থ যে কী শিখেছেন, সেটা তিনিই ভাল মনে করতে পারবেন। দ্রাবিড়ের ক্রিকেটবুকে নিঃসন্দেহে এ রকম কোনও শটের জায়গা নেই। কোনও দিন ছিল না। থাকবেও না। পন্থ সেটা তাড়াতাড়ি বুঝলে তাঁরই ভাল।

দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিংয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক। চোট কাটিয়ে প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। তবে ব্যাটে রান এল না। ১৪ রানেই ফিরলেন। অবশ্য তার আগেই বাভুমাকে চোটের কারণে ইনিংসের মাঝপথেই আহত অবসৃত হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের (০) খারাপ ছন্দ অব্যাহত এই ম্যাচেও। এমনকি, দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড় তোলা হেনরিখ ক্লাসেনকেও ফিরতে হল ৮ রান করে। ভরসা ছিলেন ডেভিড মিলার। তাঁকে দুর্দান্ত বলে ফেরালেন হর্ষল পটেল। হর্ষলের বলে বেশ ভালই গতি ছিল। লাইন বুঝতেই পারেননি অভিজ্ঞ মিলার। আড়াআড়ি ব্যাট চালাতে গেলেন। বল ব্যাট এবং প্যাডের মাঝ দিয়ে গলে উইকেট ভেঙে দিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটারের পক্ষে এই ম্যাচ বের করা সম্ভব ছিল না। সেটা সম্ভবও হয়নি। আবেশ খান চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট পেয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement