ফাইল চিত্র।
টেস্ট সিরিজ়ের পরে ওয়ান ডে সিরিজ় হওয়ার একটা সুবিধে আছে। চট করে টেস্ট সিরিজ়ের ফলটা ভুলে যাওয়া যায়।
গত বারও ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। টেস্ট সিরিজ়ে হারার পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ান ডে সিরিজ়ে হারিয়েছিল ভারত। ওই সময় ওয়ান ডে সিরিজ়টা এমন ভাবে খেলেছিল ভারত, যেন প্রত্যাশার চাপটা পুরো কাটিয়ে উঠেছে। আর তার পরে দাপট দেখিয়েই সাদা বলের সিরিজ় জিতে নেয়।
এ বারও টেস্ট সিরিজ় ঘিরে আশার পারদটা অনেকটাই চড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার দলের শক্তি বিচার করে আগের বারের থেকে প্রত্যাশাটা অনেক বেশি ছিল এ বার। তাই সব কিছু দেখে বলব, গত বারের মতো এ বারও যদি ভারত ওয়ান ডে সিরিজ়টা জেতে, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভারত এই সিরিজ় খেলতে নামবে কে এল রাহুলের নেতৃত্বে। অতীতে যখন রাহুল মাঝে মাঝে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, তখন কিন্তু দলে বিরাট ছিল না। এ বার থাকবে। তিন ধরনের ক্রিকেটেই বিরাটের পরিসংখ্যান অসাধারণ। কিন্তু ওয়ান ডে ক্রিকেটে স্বপ্নের পরিসংখ্যান বলা যায়। অনেক ফিনিশারকেই ক্রিকেটবিশ্ব দেখেছে। কিন্তু কোহলির মতো দাপট দেখিয়ে খুব কমই দলকে ম্যাচ জিতিয়েছে। দেখতে আগ্রহ থাকবে, কোহলি কত নম্বরে ব্যাট করতে নামে। গত বছর সাদা বলের কয়েকটা ম্যাচে ও ওপেনও করেছিল। তবে শিখর ধওয়ন ফিরে আসায় মনে হয় কোহলি তিন নম্বরে নামবে। যে জায়গায় ও ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছে। ভারতের ব্যাটিং শক্তি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর পিচগুলো যদি টেস্ট ম্যাচের থেকে ভাল হয়, তা হলে প্রচুর রান উঠতে দেখা যাবে।
গত বার ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে চাপে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বার কিন্তু বোলিংয়ের শক্তি আরও বেশি। কারণ বৈচিত্র আরও বেড়ে গিয়েছে। যশপ্রীত বুমরা নেতৃত্ব দিচ্ছে এই বোলিংয়ের। যাদের বিরুদ্ধে রান করা কিন্তু সহজ হবে না।
টেস্ট সিরিজ়ের ফল দেখে ভারতীয়রা নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না। টেস্ট সিরিজ়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি হয়ে উঠেছিল ডিন এলগার। কেপ টাউনে জয়সূচক শটটা নিয়েছিল টেম্বা বাভুমা। যে এখন ওয়ান ডে দলের অধিনায়ক। বাভুমাও কি একই ভাবে দলের শক্তি হয়ে উঠতে পারবে? (টিসিএম)