কোহলীর প্রশংসায় দ্রাবিড়। ফাইল ছবি
দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে দেশের মাটিতে বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন বিরাট কোহলী। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে চর্চা অব্যাহত। কিন্তু বাইরে থেকে অনেক সমালোচনা হলেও সে সবের কোনও প্রভাব তাঁর মধ্যে পড়েনি। বরং গত ২০ দিনে নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছেন কোহলী।
জোহানেসবার্গ টেস্ট শুরুর আগের দিন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কের প্রশংসায় মাতলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বলেছেন, “আমি জানি বাইরে ওকে নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। এমনকী এই টেস্টে খেলার আগেও ওকে নিয়ে চর্চা চলছে। কিন্তু সত্যি বলতে, মানসিক দিক থেকে দল অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে এবং খোদ দলের নেতাই এ ব্যাপারে বাকিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।”
দ্রাবিড়ের সংযোজন, “যে ২০ দিন আমরা এখানে রয়েছি, সেই ক’দিনে অসাধারণ মানসিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে ও। যে ভাবে অনুশীলন করেছে, শরীরচর্চা করেছে এবং গোটা দলের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, তা প্রশংসনীয়। এর থেকে ভাল ভাবে আমি অন্তত ওর সম্পর্কে বলতে পারব না।”
ভারতের মাটিতে সেই সাংবাদিক বৈঠকের পর আর এক বারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি কোহলী। প্রথম টেস্ট হোক বা দ্বিতীয় টেস্ট, সাংবাদিক বৈঠকে এসেছেন অন্য কেউ। কেন কোহলী নিজে আসতে চাইছেন না। দ্রাবিড়ের উত্তর, “কোনও কারণ নেই। কে আসবে সেটা আমি ঠিক করি না। তবে শুনেছি শততম টেস্টের আগে ও কথা বলবে। তখন আপনারা ওকে যত খুশি প্রশ্ন করতে পারেন।” প্রসঙ্গত, পরের টেস্ট, অর্থাৎ কেপ টাউনেই শততম টেস্টে নামতে চলেছেন কোহলী।
কোহলীর পাশে দ্রাবিড় যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনই দ্বিতীয় টেস্টের আগে ছন্দহীন চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রহাণের সমর্থনেও কথা বললেন দ্রাবিড়। তিনজনের কারওরই ব্যাটে রান নেই। ভারতীয় কোচ বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে খেলতে থাকলে এ রকম সময় আসতেই পারে। হয়তো কোনও ব্যাটার ভাল ব্যাট করছে কিন্তু সে বড় রান করতে পারছে না। তিনজনের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা এক। তবে ভাল খবর হল এটাই, তিনজনকেই যথেষ্ট ভাল মেজাজে দেখতে পাচ্ছি। ওরা ভালই জানে কী ভাবে বড় রান করতে হয়। ওদের অনুশীলন এবং প্রস্তুতি দেখে বুঝতে পারছি, বড় রান পাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা।”