রবিবার ধর্মশালার মাঠে কুয়াশার দাপট। ছবি: আইসিসি।
বৃষ্টি হলে ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়— এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। রবিবার বিশ্বকাপের ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে কোনও বাধা তৈরি করেনি বৃষ্টি। তবু কুয়াশার কারণে কিছু ক্ষণের জন্য ধর্মশালায় বন্ধ রাখতে হয় খেলা। এমন অদ্ভুত কারণে ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি নেপিয়ারে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের এক দিনের ম্যাচও কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয় আকাশে সূর্যের অবস্থানের কারণে। শিখর ধাওয়ান অভিযোগ করেছিলেন, ব্যাট করার সময় চোখের সোজাসুজি থাকছে সূর্য। ফলে বোলারকে বা বল কোনও কিছুই ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না। সে বারেও বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়। পরে খেলা শুরু হলে রবিবারের মতোই রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত।
বৃষ্টি ছাড়া অন্য প্রাকৃতিক কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার নজির রয়েছে আরও। ১৯৯৫ সালের ৩০ জুন ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছিল সূর্যের অবস্থানের জন্য। আবার ২০১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ কিছু ক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়। ২৮ জুনের সেই ম্যাচে চেষ্টার-লি-স্ট্রিটের মাঠে ঢুকে পড়েছিল এক ঝাঁক মৌমাছি। ২০২২ সালে কাউন্টি ক্রিকেটের একটি ম্যাচও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল প্রায় ২০ হাজার মৌমাছির ঝাঁক। বন্ধ রাখতে হয় সাসেক্স এবং লেস্টারশায়ারের খেলা।
আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের রেকর্ড ততটা ভাল নয়। এক দিনের বিশ্বকাপে এত দিন জয় অধরা ছিল। রবিবার রোহিত শর্মারা সেই কাঙ্খিত জয় পেয়েছেন। তবে রবিবারের ম্যাচ কুয়াশার কারণে বন্ধ রাখতে হয় কিছু ক্ষণ।
রবিবারের ঘটনাটি ভারতের ইনিংসের সময়। সে সময় বল করছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের দুই জোরে বোলার লকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরি। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছিলেন তাঁরা। কুয়াশার জন্য ভারতীয় ব্যাটারদের দ্রুতগতির বল দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল। সমস্যা হচ্ছিল ফিল্ডারদেরও। পরিস্থিতি দেখে দু’দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেন দুই আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক এবং মাইকেল গফ। কিছু ক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাঠের মাঝ খান থেকে কুশায়া সরে যাওয়ার পর আবার শুরু হয় বিশ্বকাপের ম্যাচ।