শনিবার নিউ জ়িল্যান্ড ইনিংসের মাঝে সামান্য মতবিরোধ হয় শামি এবং সিরাজের। ছবি: টুইটার।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচের মধ্যেই সামান্য তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ। তাঁদের থামাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন রোহিত শর্মা। দুই জোরে বোলারের মতবিরোধের কারণ জানিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
রায়পুরের ২২ গজে অনবদ্য বোলিং করেন শামি এবং সিরাজ। উইকেটের দু’প্রান্ত থেকে নতুন বল হাতে সফরকারী ব্যাটারদের অস্বস্তিতে রেখেছিলেন তাঁরা। পাল্লা দিয়ে উইকেট তুলে নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদন্ড ভেঙে দেন তাঁরা। ছন্দ পেয়ে যাওয়ায় দু’জনেই নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারদের আরও পরীক্ষা নিতে চাইছিলেন। বোলার পরিবর্তন করতে পারছিলেন না রোহিত। দুই জোরে বোলারই থামতে না চাওয়ায় সমস্যায় পড়েন অধিনায়ক। শামি এবং সিরাজ দু’জনেই রোহিতকে বলেছিলেন, তাঁকে আক্রমণে রেখে উইকেটের অন্য প্রান্তে বোলার পরিবর্তন করতে। তা নিয়েই সামান্য তর্কে জড়ান উইকেটের স্বাদ পেয়ে যাওয়া দুই জোরে বোলার। সে সময় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন রোহিত। দু’জনকে শান্ত করেন তিনি। এর মধ্যে অবশ্য বিতর্কের কিছু দেখছেন না ভারতীয় দলের অধিনায়ক। শনিবারের ম্যাচে শামি এবং সিরাজ দু’জনেই ছয় ওভার করে বল করেন। শামি ১৮ রানে ৩ উইকেট এবং সিরাজ ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বাংলার জোরে বোলার।
বোলারদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত রোহিত বলেছেন, ‘‘শেষ পাঁচটা ম্যাচে আমাদের বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। আমরা ওদের কাছে যা চেয়েছি, ওরা তাই দিয়েছে। অন্য দেশে এমন পারফরম্যান্স আশা করা যেতে পারে। কিন্তু ভারতের মাটিতে এই কাজটা করা সহজ নয়। তাও ওরা পর পর ম্যাচে করে দেখাচ্ছে। এতটাই দক্ষ ওরা। ম্যাচের আগের দিন সন্ধ্যায় অনুশীলন করার সময়ই বুঝতে পেরেছিলাম রায়পুরে ২৫০ রানই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’’
অজানা উইকেটে কেন প্রথমে ব্যাট করে নিলেন না? রোহিত বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচটায় আমরা প্রথমে ব্যাট করেছিলাম। তাই রায়পুরে নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চেয়েছিলাম। দলের সকলেই দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আগে বা পরে ব্যাট করা নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। ইনদওরে কী করব জানি না।’’
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় জয় রায়পুরেই নিশ্চিত করেছে ভারতীয় দল। প্রথম দু’টি ম্যাচই জেতায় সিরিজ়ের তৃতীয় ম্যাচ এখন শুধুই নিয়মরক্ষার। ফলে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পথে হাঁটতে পারেন রোহিতরা।