দুরন্ত দ্বিশতরান শুভমনের। নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারদের রেয়াত করলেন না তিনি। ছবি: পিটিআই
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচে শতরান করেছিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে দ্বিশতরান করলেন শুভমন গিল। হায়দরাবাদে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন ভারতীয় ওপেনার। তাঁর ১৪৯ বলে ২০৮ রানের ইনিংসে ভর করে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারে ৩৪৯ রানে শেষ হল ভারতের ইনিংস। জিততে গেলে ৩৫০ রান করতে হবে নিউ জ়িল্যান্ডকে।
শতরান করে বিরাটের নজির ভেঙে দিলেন শুভমন। এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে দ্রুত ১০০০ রান করলেন তিনি। বিরাট ২৪টি ইনিংসে ১০০০ রান করেছিলেন। শুভমন মাত্র ১৯টি ইনিংসে সেটা করে দেখালেন। তবে শুধু শতরানেই থেমে থাকল না তাঁর ইনিংস।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। পরের দিকে শিশির পড়বে জেনেও নিজেদের পরীক্ষার মুখে ফেলতে চেয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় বাকিরা পাশ করতে না পারলেও শুভমন লেটার মার্কস পেলেন। রোহিতের সঙ্গে শুরুটা ভাল করেছিলেন তিনি। দু’জনে মিলে দ্রুত রান তুলছিলেন। ভাল দেখাচ্ছিল রোহিতকে। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরলেন রোহিত। রান পাননি বিরাট কোহলি ও ঈশান কিশন।
দিনটা ছিল শুভমনের। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়লেই পরের কয়েকটি বলে বড় শট মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। ফলে উইকেট পড়লেও বড় রানের দিকে এগোচ্ছিল ভারত। শুভমনকে কিছুটা সঙ্গ দেন সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পাণ্ড্য। সূর্য ৩১ ও হার্দিক ২৮ রান করেন। হার্দিকের আউট হওয়ার পিছনে রয়েছে আম্পায়ারের ভুল। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, বল উইকেটে লাগেনি। উল্টে কিউয়ি উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের গ্লাভসে লেগে বেল পড়ে যায়। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। বিরক্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হার্দিক।
শুভমন নিজের তৃতীয় শতরান পূর্ণ করেন। ১৯টি ইনিংসে তৃতীয় শতরান হল তাঁর। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। অন্য দিকে উইকেট পড়তে থাকায় রানের গতি বাড়ান তিনি। ১৫০ রান পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে একটা সময় মনে হচ্ছিল, দ্বিশতরান বুঝি আর হল না। কারণ, কয়েকটি ওভারে রানের গতি কমে গিয়েছিল। কিন্তু ৪৯তম ওভারকে নিশানা করলেন শুভমন। লকি ফার্গুসনকে পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে ২০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ ওভারের প্রথম বলে আবার ছক্কা মারেন তিনি। দ্বিতীয় বলে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান শুভমন।