প্রথম ম্যাচ জিতে নিলেন উইলিয়ামসনরা। ছবি: পিটিআই
এক দিনের সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হারলেন শিখর ধাওয়ানরা। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৬ রান তোলে ভারত। অর্ধশতরান করেছিলেন ধাওয়ান, শুভমন গিল এবং শ্রেয়স আয়ার। কিন্তু তার পরেও ম্যাচ জিততে পারল না ভারত। বোলাররা উইকেটই তুলতে পারলেন না। অকল্যান্ডে ১৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় নিউ জ়িল্যান্ড। সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন কিউইরা। টম লাথাম শতরান করলেন।
শুক্রবার শুরু থেকে যদিও ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠালেও ধাওয়ানরা শুরু থেকেই রান করছিলেন। আগামী বছর বিশ্বকাপে ধাওয়ান এবং শুভমনকে দেখা যাবে কি না তা নিশ্চিত না হলেও টিম সাউদি, লকি ফার্গুসনদের সামলে নিজেদের দাবি জানিয়ে রাখলেন ধাওয়ান এবং শুভমন। ৭৭ বলে ৭২ রান করলেন ধাওয়ান। শুভমন ৫০ রান করলেন ৬৫ বলে। দু’জনে মিলে ১২৪ রানের জুটি গড়েন। তিন নম্বরে নেমে রান করলেন শ্রেয়সও।
ভারতের দুই ওপেনার পর পর ফিরে গেলে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল শ্রেয়স এবং পন্থের কাঁধে। শ্রেয়স নিজের দায়িত্ব পালন করলেও ব্যর্থ পন্থ। ১৫ রানের মাথায় বোল্ড হলেন তিনি। ফার্গুসনের শর্ট বলে পুল মারতে গিয়ে উইকেটে বল টেনে আনলেন পন্থ। সেই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন। পরের বলে রান পাননি। তৃতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে গেলেন সূর্যকুমার।
পন্থ এবং সূর্যকুমার সে ভাবে রান না পেলেও ৩৬ রান করে গেলেন সঞ্জু স্যামসন। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া ভারতকে উদ্ধার করলেন তিনি এবং শ্রেয়স। ৯৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। শেষ বেলায় ১৬ বলে ৩৭ রান করে যান ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি না থাকলে ভারত ৩০০ রানের গণ্ডি পার করতে পারত কি না সন্দেহ। শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন শ্রেয়সও। সাউদির বলে আউট হওয়ার আগে ৮০ রান করে যান তিনি। ৫০ ওভারে ৩০৬ রান তোলে ভারত।
নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সাউদি এবং ফার্গুসন। একটি উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে। সাউদি উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৭৩ রান দেন। ফার্গুসন দেন ৫৯ রান। স্পিনার মিচেল স্যান্টনার কোনও উইকেট পাননি। তাঁর ১০ ওভারে ভারত ৫৬ রান করে।
ভারতীয় দলের হারের জন্য অবশ্যই দায়ী বোলিং। উমরান মালিক জীবনের প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নেমে দু’টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু বাকিরা কেউ উইকেট পেলেন না। উইলিয়ামসন এবং টম লাথাম ২২১ রানের জুটি গড়েন। লাথাম অপরাজিত ১৪৫ রানে। উইলিয়ামসন শতরান পেলেন মাত্র ৬ রানের জন্য। ৯৪ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি।
ধাওয়ান এ দিন পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছিল। উমরান, আরশদীপ সিংহ দলের দুই পেসার। সঙ্গে অলরাউন্ডার শার্দূল। স্পিনার হিসাবে ছিলেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হলে আর কেউ ছিলেন না। কোনও ষষ্ঠ বোলার ছিল না দলে। সেই অভাবই স্পষ্ট হল উইলিয়ামসনরা ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর। দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন (২২) এবং ডেভন কনওয়ে (২৪) অল্প রান করে আউট হয়ে যান। ড্যারিল মিচেল করেন ১১ রান। ৮৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া নিউ জ়িল্যান্ডকে ভাঙতে ব্যর্থ ভারত। উইলিয়ামসন এবং লাথাম সহজেই ম্যাচ বার করে নিয়ে চলে গেলেন। প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।