প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়ার পর উমরান। ছবি: টুইটার থেকে
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রান তুলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছিল না ভারত। শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যদের। আইরিশ ব্যাটারদের দাপটে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। সেই সময় হার্দিক বল তুলে দেন উমরান মালিকের হাতে। তরুণ কাশ্মীরি পেসারের হাতেই ছিল ম্যাচের ভাগ্য।
ম্যাচ জিতল ভারত। কিন্তু অনভিজ্ঞ উমরানের হাতে বল তুলে দিতে এক বারও ভয় করেনি হার্দিকের? সিরিজ জেতার পুরস্কার নিয়ে হার্দিক বলেন, ‘‘সত্যি বলছি, একটুও চিন্তিত ছিলাম না। আমি চাপ মুক্ত থাকতেই পছন্দ করি। বাস্তবে থাকতে পছন্দ করি। উমরানের গতির উপর আমি বাজি ধরেছিলাম। ওর যা গতি, তাতে ওকে মারা বেশ কঠিন।’’
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই যাওয়ায় অনেক ভারতীয় সমর্থকই অবাক। হার্দিক যদিও অবাক নন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আয়ারল্যান্ড যে ওদের সর্বশক্তি দিয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে তা জানতাম। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। দারুণ শট খেলেছে ওরা। আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার জন্য।’’
আয়ারল্যান্ডে প্রচুর ভারতীয় সমর্থকের সামনে খেললেন হার্দিকরা। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘দারুণ সমর্থক। দীনেশ কার্তিক আর সঞ্জু স্যামসন ওদের সব থেকে প্রিয়। ওরা ভাল খেলায় সমর্থকরাও খুশি। এখানে এসে খেলতে পেরে ভাল লাগছে।’’
তরুণ ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিলেন হার্দিক। অধিনায়ক হিসাবে প্রথম সিরিজ জয় তাঁর। হার্দিক বলেন, ‘‘আমি গর্বিত। ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলব। সেই সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, প্রথম ম্যাচ জয়, প্রথম সিরিজ জয়, খুবই স্পেশাল। দীপক হুডা খুব ভাল ব্যাট করেছে। উমরান ভাল বল করেছে। আমি ওদের জন্যও খুশি।’’