হার্দিকের বদলের কাহিনি ছবি রয়টার্স
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তাঁর ক্রিকেটজীবনই শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে হচ্ছিল প্রশ্নচিহ্ন। এক বছরেরও কম সময়ে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। এখন যা অবস্থা, তাতে তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের না রাখলেই বরং প্রশ্ন উঠবে। চোট-আঘাত, অস্ত্রোপচার করে হার্দিক শুধু ফিরেই আসেননি, সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন। কী ভাবে সম্ভব হল এই প্রত্যাবর্তন?
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে জিতিয়ে মুখ খুলেছেন হার্দিক। বলেছেন, “কঠোর পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যাবেই। আমার মতে, যদি ভাল কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে পরিশ্রম করেন তবে সফল হবেনই। কী করে আমি নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারি সে দিকেই লক্ষ্য রাখি। কখনও ফল আমার পক্ষে যাবে, কখনও বিপক্ষে। খুব বেশি উঁচুতে নিজেকে দেখি না। নিরপেক্ষ থাকতে ভালবাসি। আজ ভাল গিয়েছে, কাল খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু জীবন এগিয়ে যাবে। তাই হাসতে হাসতে পরিশ্রম করাই ভাল।”
হার্দিক জানিয়েছেন, কী করতে চান সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর সুবিধা হয়েছে। বলেছেন, “যে কোনও বিষয়ে বরাবরই স্বচ্ছতা রাখতে ভালবাসি। যখন কোনও বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখব না, তখন বিশ্রাম নিয়ে দুর্বল জায়গা খুঁজে নিয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করব। তাড়াহুড়ো করে কোনও কাজই করার চেষ্টা করব না। তবে একটা কথা স্বীকার করতেই হবে, আমার পরিবার কঠিন সময়ে বার বার পাশে দাঁড়িয়েছে। যখনই কোনও সমস্যা হয়েছে তখনই ক্রুণাল, ওর স্ত্রী এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।”
বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে অর্ধশতরান, বল হাতে চার উইকেট নিয়েছেন। কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন? হার্দিক বলেছেন, “দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতে চাই। অর্ধশতরান গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ তার আগে আমরা বেশ কয়েকটা উইকেট হারিয়েছিলাম। বড় রান তুলতেই হত। আবার বোলিংয়ের সময় ওই স্পেল আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।” সীমিত ওভারে সাফল্য পাচ্ছেন। তবে টেস্ট খেলার দিকে এখনই নজর দিচ্ছেন না হার্দিক। বলেছেন, “সামনে অনেক সাদা বলের ক্রিকেট হয়েছে। তাই ওটাতে মনঃসংযোগ করতে চাই। টেস্টে সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে। কোনটা খেলব আর কোনটা খেলব না, সেটা সময় বলে দেবে। যা-ই খেলি, নিজের ১০০ শতাংশ দেব।”