India vs England 2022

India vs England 2022: সাড়ে তিন ওভারেই বদলে যাচ্ছে আকৃতি, ডিউক বলে কি সুইং করাতে পারবেন বুমরা-ব্রডরা

ডিউক বলের আকার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ঘন ঘন বল বদলাতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, বল কি সুইং করাতে পারবেন ভারত এবং ইংল্যান্ডের জোরে বোলাররা?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৪
Share:

বলের সুইং নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন ব্রডরা। ফাইল চিত্র

সিরিজের শেষ টেস্ট শুরুর আগেই চিন্তায় দুই দলের জোরে বোলাররা। এজবাস্টন টেস্টে খেলতে নামার আগে যশপ্রীত বুমরা, স্টুয়ার্ট ব্রডদের মাথাব্যথার কারণ, বলের সুইং। ইংল্যান্ডের ভিজে আহবাওয়াতেও আদৌ বল সুইং করবে কি না, তা নিয়ে চিন্তা থাকছে। কারণ, এ বারের ডিউক বল।

এই মরসুমে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিউক বল নিয়ে ব্যাপক সমস্যা হয়েছে। এই ডিউক বলেই এজবাস্টন টেস্ট খেলা হচ্ছে। বল এত তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে যে, শুরু থেকেই বার বার বদল করতে হচ্ছে। এর ফলে বোলারদের বল সুইং করাতে সমস্যা হচ্ছে। ব্রড তাঁর কলামে এই ডিউক বলের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে বল নিয়ে বার বার আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এই বছর কাউন্টি ক্রিকেটও এই বলেই খেলা হচ্ছে। সেখানেও সমস্যা হয়েছে। ডারহাম ও গ্ল্যামারগনের মধ্যে ম্যাচে মোট ১১ বার বল বদল করতে হয়েছে। এর মধ্যে এক দিনেই পাঁচ বার বল বদলাতে হয়েছে।

‘মেল অন সানডে’ পত্রিকায় নিজের কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘বল এত তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে যে, না থাকছে সুইং, না থাকছে বাউন্স। প্রতি ইনিংসে দু’-তিন বার করে বল বদলাতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কাদার তাল নিয়ে বল করছি। খেলা শুরুর আগেই মনে হচ্ছে হাত দিয়ে চেপে বলের আকৃতি বদলে ফেলা যাবে। ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে ম্যাচে তো সাড়ে তিন ওভারের মধ্যে বলের বারোটা বেজে গিয়েছিল। আট ওভারের মাথায় বল বদলাতে হয়।’’

Advertisement

ডিউক বল যারা তৈরি করে, সেই সংস্থার মালিক দিলীপ জাজোদিয়া একটি ইংরাজি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘‘মনে হয় সমস্যাটা ট্যানিংয়ে। বেশ কয়েক মাস আগে চামড়া ট্যান করা হয়েছিল। আসল সমস্যাটা কোথায় সেটা আমরা ধরতেই পারিনি। বল মেশিনে তৈরি হয় না, হাতে তৈরি হয়। শুধু আমরা নয়, আরও কয়েকটি সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। যারা ট্যান করে, কোভিডের সময় তাদের কর্মচারী কম ছিল। সাধারণত যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তার যোগান হয়ত ছিল না। অন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। রঙ আসে অন্য জায়গা থেকে। ডাই নিতে হয় আর একটা জায়গা থেকে। ফলে সবটা আমাদের হাতে নেই। কী কারণে সমস্যা হচ্ছে, আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি।’’

এটা স্পষ্ট, সমস্যা কোথায়, খুঁজে বার করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তার আগেই ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। বোঝা যাবে, বুমরা-ব্রডরা কতটা সমস্যায় পড়লেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement