চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল লোকেশ রাহুলের ভারত। ছবি: আইসিসি।
প্রত্যাশা মতোই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে জয় পেল ভারত। জয়ের জন্য ৫১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাকিব আল হাসানদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ৩২৪ রানে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ১৮৮ রানে জয়ের সুবাদে দুই টেস্টের সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল ব্যাটিং করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার মূল্য চুকিয়ে হেরে গেল শাকিবের দল। ম্যাচের শেষ দিন বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪১ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। চতুর্থ দিনের শেষে অপরাজিত ছিলেন শাকিব এবং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তাঁরা কিছুটা লড়াই করবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। শাকিব ৮৪ রান করলেও মেহেদি আউট হলেন ১৩ রানে। এক দিনের সিরিজ়ে ভারতের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো মেহেদি পঞ্চম দিনের উইকেটে নিজেই দাঁড়াতে পারলেন না। তিনি আউট হলেন মহম্মদ সিরাজের বলে। শাকিবকে সাজঘরে ফেরালেন কুলদীপ যাদব। বাংলাদেশের অধিনায়ক আউট হতেই ভারতের জয় ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কাঙ্ক্ষিত জয়ের জন্য খুব বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি এই টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া লোকেশ রাহুলকে। নয় নম্বরে নামা তাইজুল ইসলাম ৪ রান করে আউট হলেন অক্ষর পটেলের বলে। কোনও রান না করেই সাজঘরে ফিরলেন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা এবাদত হোসেন। তিনিও বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপের শিকার। শেষ পর্যন্ত শূন্য রানে অপরাজিত থাকলেন বাংলাদেশের ১১ নম্বর ব্যাটার খালেদ আহমেদ।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের নাজেহাল করল কুলদীপের স্পিন। তিনি ৭৩ রান খরচ করে নিলেন ৩ উইকেট। উইকেটের অন্য প্রান্তে তাঁকে যোগ্য সহযোগিতা করলেন অক্ষর। ৭৭ রানে ৪ উইকেট তাঁর। একটি করে উইকেট পেলেন মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং উমেশ যাদব।
এর আগে ভারত প্রথম ইনিংসে করে ৪০৪ রান। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। সুযোগ থাকলেও শাকিবদের ফলোঅন করাননি রাহুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৫৮ রান করে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য ৫১৩ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল করলেও এবং অধিনায়ক শাকিবের লড়াকু ইনিংস সত্ত্বেও টেস্ট বাঁচাতে পারল না আয়োজকরা।