মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার আগে ক্রিজে রোহিত এবং বিরাট। ছবি: এএফপি
প্রথম দিনের শেষে ক্রিজে থাকা রোহিত শর্মা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুক্রবার সকাল থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন। টেস্টে পাঁচটি শতরানের মালিক অশ্বিন যে ব্যাট করতে পারেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল ভারত। শুরুটা ভালই করেছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণ টড মারফির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান। ২৩ করে আউট হন তিনি। আউট চেতেশ্বর পুজারাও। মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার আগে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলেছে।
প্রথম দিনের শেষে ১০০ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। লোকেশ রাহুলের উইকেট হারালেও ভারতীয় দল বড় রান তোলার ভিত গড়ে ফেলেছিল। সেই কাজটাই শুক্রবার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত এবং অশ্বিন। মারফি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলারই সে ভাবে ভারতকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারছিল না। সেই মারফিকেই উইকেট দিয়ে বসেন অশ্বিন। পুজারা যে ভাবে আউট হলেন তা অবাক করে দেওয়ার মতো। মারফিকে সুইপ মারতে গেলেন পুজারা। যে ব্যাটার কোনও রান না করে ৫০ বল খেলে দিতে পারে, উইকেটের সামনে মজবুত রক্ষণ যে ব্যাটারের তিনিই কি না সুইপ মারতে গেলেন!
প্যাট কামিন্স, স্কট বোলান্ড, নাথান লায়নদের বিরুদ্ধে সহজেই খেলছেন রোহিতরা। ৮৫ রান করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। অশ্বিনও যে ভাবে খেলছিলেন বোলান্ডদের তাতে কোনও অস্বস্তি ছিল না। ৮ ওভারে ৪১ রান দিয়েছেন কামিন্স। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো রান দিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ৩ উইকেট নেওয়া মারফিই ভারতকে বিপদে ফেলেন। ১৫ ওভারে ৩৫ রান দেন তিনি। তাঁর বল একটু দেখে খেলছেন রোহিতরা। নাথান লায়নের মতো বোলিং অ্যাকশন মারফির। কিন্তু ভারতের সামনে লায়নের থেকে বেশি সমস্যা তৈরি করছেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা স্পিনার।
প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে যায় ১৭৭ রানে। কোনও ব্যাটারই ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। শুরুতে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে স্টিভ স্মিথ এবং মার্নাস লাবুশেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। যদিও জাডেজার সামনে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি তাঁরা। ৫ উইকেট নেন জাডেজা। ৩ উইকেট নেন অশ্বিন।