চুলের সাজসজ্জা নিয়ে তিনি বরাবরই শৌখিন। প্রথম টেস্টের শিরোনামেও রবীন্দ্র জাডেজার চুলের সাজ। ফাইল ছবি
চুলের সাজসজ্জা নিয়ে তিনি বরাবরই শৌখিন। বিভিন্ন সময়েই সমাজমাধ্যমে চুলের নিত্যনতুন স্টাইল নিয়ে ছবি পোস্ট করেন। তবে অতীতে কবে তাঁকে ঝুঁটি বেঁধে বোলিং করতে দেখা গিয়েছে, তা কেউই মনে করতে পারছেন না। এমনিতে বড় চুল রাখা তাঁর স্বভাব। তাই বলে ঝুঁটি? স্মৃতি হাতড়াতে হচ্ছে অনেককেই।
কৌতূহল নিরসন করতে ম্যাচের পরেই জাডেজার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় রবি শাস্ত্রীর পাশ থেকে কার্তিক জিজ্ঞাসা করেন, কেন এত বড় চুল রেখেছেন এবং ঝুঁটি বেঁধেছেন? হাসতে হাসতে ভারতীয় অলরাউন্ডারের জবাব, “আসলে ক্রিকেটে ফিরতে এতটাই মরিয়া ছিলাম যে সময়ই পাইনি। পুরো সময়টাই চলে গিয়েছে শুশ্রূষা করতে এবং ফিটনেসের উপর জোর দিতে।”
প্রত্যাবর্তনের পাঁচ উইকেট পেয়ে কেমন লাগছে? জাডেজার উত্তর, “যে ভাবে বল করেছি তাতে খুবই খুশি। উপভোগ করেছি পুরো সময়টা। পাঁচ মাস পরে টেস্ট খেলতে নামলাম। মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) নিজের দক্ষতায় শান দেওয়ার উপরে জোর দিয়েছি। অনেক দিন পরে রঞ্জিতে খেলতে নেমে ৪২ ওভার বল করেছি। এখানে খেলতে নামার আগে অনেকটা বেশি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে সেই পারফরম্যান্স।”
পিচ নিয়ে গত দু’দিনে অনেক বিতর্কই হয়েছে। উঠেছে অনেক প্রশ্ন। সেই প্রসঙ্গে জাডেজার স্পষ্ট জবাব, “উইকেটে কোনও বাউন্স ছিল না। তাই স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে গিয়েছি। কিছু বল ঘুরছিল, কিছু বল সোজা যাচ্ছিল। বাঁহাতি স্পিনার হিসাবে যদি ব্যাটারকে কট বিহাইন্ড বা স্টাম্প করি, তা হলে অবশ্যই সেটা বল এবং পিচের কৃতিত্ব। এমনিতেই টেস্ট ম্যাচে উইকেট পাওয়াটা আলাদা অনুভূতি। এনসিএ-তে থাকার সময় ১০-১২ ঘণ্টা রোজ বল করেছি। তাই জানি একটানা বল করতে আমার কোনও সমস্যা হয় না।”