উইকেট নেওয়ার পর উল্লাস রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। গড়ে ফেললেন নজিরও। ছবি: বিসিসিআই
প্রথমে রবীন্দ্র জাডেজা। তার পরে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চা-বিরতিতে এই দুই বোলারের দাপটে চাপে অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যেই সপ্তম উইকেট হারিয়েছে তারা। দ্রুততম ভারতীয় বোলার হিসাবে টেস্টে ৪৫০ উইকেট নিলেন অশ্বিন। টপকে গেলেন অনিল কুম্বলেকে। চা-বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪।
অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকে তুলে নিয়েছিলেন দুই পেসার। তার পর একাই অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। অশ্বিন অনেক আগে থেকে বল করলেও সে ভাবে সাফল্য পাচ্ছিলেন না। তাঁকে বরং অনেক সহজেই খেলে দিচ্ছিলেন অজি ব্যাটাররা। সেই সুযোগ এল শেষ দিকে। অশ্বিনের সোজা বল রিভার্স সুইপ করতে গেলেন অ্যালেক্স ক্যারে। বল ব্যাটে লেগে সোজা স্টাম্পে। তার দু’ওভার পরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ফেরান অশ্বিন। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন কোহলি। টড মারফি ফিরে যান জাডেজার বলে।
ক্যারেকে ফেরানোর সঙ্গেই নজির গড়ে ফেলেন অশ্বিন। ৮৯তম টেস্টে ৪৫০ উইকেট নিলেন অশ্বিন। টপকে গেলেন অনিল কুম্বলেকে, যিনি ৯৩তম ম্যাচে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। সবার আগে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলীধরন। তিনি ৮০তম ম্যাচে ৪৫০ উইকেট পেয়েছিলেন।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে অস্ট্রেলিয়াকে টানছিলেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাশ লাবুশেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত তাঁদের আউট করা যায়নি। কিন্তু বিরতির পরেই অস্ট্রেলিয়াকে জোড়া ধাক্কা দেয় ভারত। পর পর দু’বলে দু’উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। তাঁর স্পিনের ভেল্কিতে খেলায় ফেরে ভারত।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে প্রথমে আউট হন লাবুশেন। ইনিংসের শুরু থেকেই পায়ের ব্যবহার করছিলেন তিনি। উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলছিলেন। সেখানেই লাবুশেনকে ফাঁদে ফেলেন জাডেজা। অফস্টাম্পে বাইরে কিছুটা মন্থর গতিতে করা বল মারতে গিয়ে মিস্ করেন লাবুশেন। বল ঘুরে চলে যায় উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের হাতে। তখন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন লাবুশেন। আর ফিরতে পারলেন না তিনি। ৪৯ রানের মাথায় স্টাম্প আউট হলেন তিনি।
পরের বলেই আবার সফল হন জাডেজা। এ বার তাঁর শিকার বাঁ হাতি ম্যাট রেনশ। বলের লাইনই ধরতে পারেননি রেনশ। বল তাঁর প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। রেনশ রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাশ লাবুশেন। ভারতের বোলারদের ছন্দ নষ্ট করতে অন্য পদ্ধতি নেন তাঁরা। স্মিথ এমনিতেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেন না। ক্রমাগত নড়াচড়া করতে থাকেন। সেই এক কাজ করতে দেখা গেল লাবুশেনকেও। কোনও বলে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এলেন তাঁরা। কোনও বলে আবার পিছনের পায়ে খেললেন। ফলে বোলাররা নির্দিষ্ট জায়গায় বল ফেলতে পারলেন না। তারই সুযোগ নিল অস্ট্রেলিয়া।